বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারিতে নাম উঠলো ‘মিস জুলেখা খাতুন’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি লটারির প্রকাশিত তালিকায় ‌‘মিস জুলেখা খাতুন’ নামে এক বালিকার নাম আসায় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়টি শুধুমাত্র বালকদের জন্য হওয়ায় এই ঘটনা লটারির ডিজিটাল প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টার পর অনলাইনে ও বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল প্রকাশিত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকাশিত তালিকায় ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি (দিবা শিফট) ভর্তি তালিকার ৭১ নম্বর সিরিয়ালে উঠে আসে ‘মিস জুলেখা খাতুন’-এর নাম। ফল প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও সাধারণ অভিভাবকদের মধ্যে লটারি কার্যক্রম নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।

অভিভাবকরা বলছেন, প্রতি বছরই ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও ভুলের অভিযোগ শোনা যায়। এর আগেও চুয়াডাঙ্গার দুইটি বালক-বালিকা বিদ্যালয়ে একই ধরনের ভুল হয়েছিল। এবারও ডিজিটাল লটারিতে এমন ত্রুটি দেখা যাওয়ায় অভিভাবকদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।

লটারিতে নাম আসা ওই শিক্ষার্থীর বাবা জিনারুল ইসলাম ও মা সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বরে কল দিলে তারা মন্তব্য না করে ফোন কেটে দেন। পরে কয়েকবার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারিতে নাম উঠলো ‘মিস জুলেখা খাতুন’

বিষয়টি জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা অফিসার (অ.দা.) জেসমিন আরা খাতুন জানান, তিনি চাকরির পরীক্ষার হলে থাকায় পরে বিস্তারিত জানাবেন।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। যেহেতু ভর্তি লটারির পুরো কার্যক্রম ঢাকায় সম্পন্ন হয়েছে, তাই বালক বিদ্যালয়ের তালিকায় বালিকার নাম ওঠা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশোধনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের একই দিনে চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি লটারিতে সাবিহা ইসলাম নামে এক বালিকার নাম প্রকাশিত হয়েছিল। একই সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার ওঠার ঘটনাও ঘটে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লটারিতেও কয়েকজনের নাম একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছিল। এসব ঘটনার পর থেকেই লটারি কার্যক্রম নিয়ে অভিভাবকদের আস্থাহীনতা বাড়ছে।

হুসাইন মালিক/কেএইচকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।