পদ্মা সেতুতে থেমে থাকা বাসে আরেক বাসের ধাক্কা, হেলপার নিহত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১২:১৬ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুতে থেমে থাকা বাসের পেছনে আরেক বাসের ধাক্কায় তোফায়েল মিয়া (২৭) নামে এক হেলপার নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদ নিলয়। এর আগে সোমবার দিনগত রাত একটার দিকে পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলার বরাবর এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তোফায়েল মিয়া মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ফকির মাহমুদ আকন কান্দি এলাকায় ভাড়া থাকেন।

সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিনগত রাতে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী পদ্মা স্পেশাল পরিবহন নামের একটি বাস পদ্মা সেতুর ২৯ নম্বর পিলার এলাকায় হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ে। এসময় পেছনে থাকা ভাঙ্গাগামী বসুমতী পরিবহন নামের একটি বাস সজোরে সামনের বাসটির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে বসুমতি পরিবহনে থাকা হেলপার তোফায়েল মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে সেতু কর্তৃপক্ষের রেকারে দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি আলাদা লেনে সরিয়ে নেওয়া হয়।

আবু সাদ নিলয় বলেন, পদ্মা স্পেশাল নামের পরিবহনটি চলতে চলতে হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লে পেছন থেকে বসুমতী পরিবহন নামের একটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটিকে রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ায় যানজট তৈরি হয়নি। আমরা সব সময় গাড়িচালকদের সতর্ক করি, যাতে তারা সেতুর ওপর না দাঁড়ায়।

এ ব্যাপারে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কবির বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠাই। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিধান মজুমদার অনি/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।