শীত বাড়ার সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে লেপ-তোশকের
শেরপুরে তীব্র শীতের প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ পুরোনো লেপ-তোশকগুলো ব্যবহার উপযোগী করে নিচ্ছেন, আবার কেউ নতুন করে তৈরি করছেন। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন সীমান্তবর্তী এ জেলার লেপ-তোশকের কারিগররা।
শেরপুরের তেরাবাজার, নবীনগর, আখের মামুদ বাজার, বাজিতখিলা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের লেপ-তোশকের দোকান ঘুরে দেখা যায়, পাঁচ ফুট বাই সাত ফুট সাইজের তোশক বানাতে ২০০০-২৫০০ টাকা, ছয় ফুট বাই সাত ফুট সাইজের তোশকে ৩২০০ টাকা খরচ পড়ছে। আর সাইজ ভেদে লেপ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১৫০০ টাকা।
শহরের তেরা বাজারে লেপ বানিয়ে নিতে আসা চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুড়া গ্রামের শাহ জাহান তালুকদার বলেন, ‘এবার শীতে রাতে ঠান্ডার দাপট দেখা দিয়েছে। তীব্র শীত শুরু হলে দোকানগুলোতে বেশি চাপ থাকে। তাই আগেভাগেই একটি পুরোনো লেপের তুলার সঙ্গে আরও এককেজি তুলা দিয়ে নতুন কাপড় লাগিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। সঙ্গে একটি নতুন তোশকও নিচ্ছি। তবে আমার কাছে আগের চেয়ে তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি মনে হলো।’

আখের মামুদ বাজারে তোশক বানিয়ে নিতে আসা কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের গৃহিণী সালমা আক্তার বলেন, ‘বাড়িতে একটি তোশক ছিল। সেটি পুরোনো হয়ে গেছে, ছিঁড়েও গেছে। তাই সেটি নতুন করে ঠিক করতে দিতে এসেছি। ১২০০ টাকা খরচ পড়ে গেলো। তিন বছর আগে নতুন নিয়েছিল দুই হাজার টাকা। এবার ঠিক করতে লাগছে ১২০০ টাকা।’
শহরের তেরা বাজারের কারিগর আবদুল্লাহ বলেন, ‘আগে পাঁচ হাত বাই পাঁচ হাত সাইজের রেডিমেড লেপের দাম পড়তো ১১০০ টাকা, এখন হয়েছে ১২০০ টাকা। অর্ডার দিয়ে ওই সাইজের লেপ বানালে তুলার মানভেদে খরচ পড়বে ১৫০০-২০০০ টাকা। লেপের কভারসহ সেটা বিক্রি হবে ২২০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় ১০০-২০০ টাকা বেশি দাম পড়বে।’
এ বিষয়ে শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফ হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘লেপ-তোশকের বেচাবিক্রি এখন আর আগের মতো নেই। রেডিমেড কম্বল লেপ-তোশকের বাজার দখল করে ফেলেছে। যারা কোনোমতে এ পেশায় টিকে আছেন, তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।’
মো. নাঈম ইসলাম/এসআর/এএসএম