ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তামাকের চাষ


প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৫

ফরিদপুরে ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে ক্ষতিকর তামাক চাষ। গত কয়েক বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এ চাষাবাদ। দিনের পর দিন তামাক আবাদ বাড়লেও তা বন্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছেনা। উপরন্তু তামাক আবাদে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানিগুলো। ফলে দিনকে দিন ধান, পাট আর পিয়াজের অঞ্চল হিসাবে পরিচিত ফরিদপুরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে তামাক আবাদ।

গত বছর যেসব জমিতে আবাদ হয়েছিল ধান, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল এখন সেই জমিগুলোতে আবাদ হচ্ছে তামাক। গত কয়েক বছর ধরে ফরিদপুর সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধে চাষ হচ্ছে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর তামাক আবাদ।

সিগারেট কোম্পানিগুলোর নানা প্রলোভনে পড়ে এবং স্থানীয় এক শ্রেণির দালালদের খপ্পড়ে পড়ে এ অঞ্চলের কৃষকেরা অন্য ফসল বাদ দিয়ে তামাক চাষে ঝুঁকে পড়ছে। তামাক আবাদে নানা সুবিধা ও কোম্পানির কাছ থেকে নগদ অর্থ, বিনামূল্যে বীজ, ঔষধ পাওয়ায় কৃষকেরা তামাক আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

তামাক আবাদ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেনেও অধিক লাভের আশায় কৃষকরা মাঠের পর মাঠ তামাক আবাদ শুরু করেছে। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অন্যদিকে তামাক আবাদে কমছে জমির উর্বরা শক্তি। তামাক আবাদে ক্ষতিকর দিকগুলো কৃষকদের মাঝে কৃষি বিভাগ থেকে প্রচার না করায় অনেকেই না জেনেও তামাক আবাদে ঝুঁকেছেন।

তামাক ব্যবহারের ফলে মানবদেহে ক্যান্সারসহ নানা রোগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তামাক আবাদ কমিয়ে আনতে সরকারের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, তামাক মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ক্যান্সার সহ নানা রোগের মাধ্যম হচ্ছে তামাক। ফরিদপুর জেলায় তামাক আবাদ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এটি দ্রুতই বন্ধ করা দরকার।

ফরিদপুর জেলায় তামাক আবাদে কৃষি অফিসে কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে তামাক আবাদ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ার কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ। তামাক আবাদ কমিয়ে আনার জন্য কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, ক্ষতিকর তামাক আবাদ বন্ধে কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি আইন প্রয়োগের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ফরিদপুরবাসীর।

এমজেড/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।