বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষের উজ্জল সম্ভবনা
বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যাকটাস জাতীয় সবুজ রংয়ের গাছে সাদা ও লাল জাতের ড্রাগন ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে অনেকটা ড্রাগন প্রাণির মতোই। বাংলাদেশে বাউ ড্রাগন ফল-১ সাদা ও বাউ ড্রাগন ফল-২ লাল চারা পাওয়া যাচ্ছে। দেশের ময়মনসিংহ, পার্বত্য এলাকায়, সাভার, রাজশাহীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাজশাহী উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হর্টিকালচার কেন্দ্রগুলোতে সফলভাবে ড্রাগন ফলের উৎপাদন হচ্ছে। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চায়নাসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ড্রাগন ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও চাষ হচ্ছে ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মতিউর রহমান মতি জাগো নিউজকে জানান, তিনি ড্রাগন ফল নিয়ে গবেষণা করছেন। ক্যাকটাস জাতীয় এই উদ্ভিদ বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়ায় ভালো হবে। বরেন্দ্র অঞ্চলে ড্রাগন ফল চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক কাউন্সিলর ফাহিম আরা ইতি জাগো নিউজকে জানান, ড্রাগন ফলে প্রচুর ভিটামিন সি, মিনারেল, উচ্চ ফাইবারযুক্ত অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফ্যাট, এ্যাস, ফসফরাস, এসকরবিক এসিড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রণ রয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরা ড্রাগন ফল বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু, মেয়ে ও বয়স্কদের জন্য এটি খুবই উপকারি।
ড্রাগন ফলের ঔষধি গুণ সম্পর্কে একাধিক হারবাল গবেষক জানিয়েছেন, সব ধরনের ডায়েটের জন্য এ ফলটি উপযুক্ত। এই ফল শরীরে ফাইবার সরবরাহ করে যা পেটের পীড়া ও পাকস্থলির জন্য খুবই উওম। একটি তাজা ড্রাগন ফল খেয়ে মানব শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখা যায় বলে রেওয়াজ আছে। এই ফল খেলে ডায়বেটিক রোগীদের শরীরে রক্তের গ্লুকোজ সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক অঞ্চলিক পরিচালক রবীন্দ্র কুমার মজুমদার জাগো নিউজকে জানান, বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের আবাদ সবেমাত্র গবেষণাগার থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য এর ২টি জাত রয়েছে। বাউ ড্রাগন ফল-১ সাদা ও বাউ ড্রাগন ফল-২ লাল। এর মধ্যে লাল রংয়ের ড্রাগন ফলের চারাটা বেশি পাওয়া যায়।
শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমএস