ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় আটক ১


প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১৯ মে ২০১৫

লক্ষ্মীপুরে গুলিতে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী মামুনুর রশিদ খাঁন (২৬) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মাহবুব নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় মাহবুব ও মামুন মোটরসাইকেলে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুলিশ জব্দ করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, মামুনের মরদেহ মঙ্গলবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামে তাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেন। নিহত মামুন একই গ্রামের আবু তৈয়বের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশের দোকানে যাওয়ার পথে ওঁত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা মামুনকে গুলি করেন। এসময় দুর্বৃত্তরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধ মামুনকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে মামুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ৫-৬টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল জাগো নিউজকে জানান, নিহত মামুন স্থানীয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করেন তিনি।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাহবুব নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। কী কারণে, কারা  হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় কোন মামলা নেই। তবে নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মামলা থাকতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কাজল কায়েস/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।