অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে ৯ জন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত
রাজবাড়ীতে অসুস্থ গরুর মাংস কাটা ও পরিষ্কার পরিছন্নের কাজে নিয়োজিত থাকা একই এলাকার দুইজন নারীসহ ৯ জন অ্যানথ্রাক্স রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুশীল কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জেলার কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার নারীসহ ৫ জন হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা হয়েছে বলে চিকিৎসা নিতে আসে। এ সময় তাদের হাতের ঘা দেখে শনাক্ত করা হয়েছে, এগুলো অ্যানথ্রাক্স রোগের চিহ্ন এবং আরও বেশ কয়েকজন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে আক্রান্তকারীরা জানিয়েছেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রাথমকিভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং বাকিদের হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে।
অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীরা হলেন- রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার করিম শেখের ছেলে মো. মোস্তফা শেখ (৩৩), একই এলাকার আব্দুস সাত্তার শেখের ছেলে হারেজ শেখ (৩৫), আব্দুল কাদের শেখের ছেলে জসিম শেখ (৩৫), মিন্টু শেখের স্ত্রী আরজিনা বেগম (২৮), মৃত ইনতাজ শেখের ছেলে ইসলাম শেখ (৫০), গফুর শেখের ছেলে ইমরান শেখ (৩২), জমিরুল শেখ (২৫), ছাত্তার শেখের ছেলে সাজাহান (৪০) ও ওসামন শেখের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩২)।
অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত মোস্তফা শেখ, হারেজ শেখ, আরজিনা বেগম, জসিম শেখ জানান, গত মাসের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার কুতুব শেখের একটি গাভি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তারা দ্রুত গরুটিকে জবাই করেন এবং একপর্যায়ে ওই এলাকাবাসী ৪০ হাজার টাকা দামে গরু কিনে মাংস ভাগা-ভাগি করে নেন।
এর দুই-তিনদিন পর থেকে মাংস কাটা, ধোয়া ও পরিষ্কার পরিছন্নের কাজে যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের মধ্যে ৯ জনের হাতের বিভিন্নস্থানে ঘা দেখা দেয়। কিন্তু যারা মাংস খেয়েছেন তাদের কারও মধ্যে এখনও কোনো ঘায়ের চিহ্ন দেখা যায় নাই। আস্তে আস্তে আক্রান্তকারীদের ঘা বাড়তে থাকায় আজ হাসাপাতালে এসে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন।
রুবেলুর রহমান/এএম/এমএস