২৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলো বরিশাল সদর হাসপাতাল


প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ২০ জুন ২০১৫
ফাইল ছবি

বিকল সুইস মেরামত না করায় ২৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিলো বরিশাল সদর হাসপাতাল। পাশাপাশি বিদ্যুতের জন্য হাসপাতালের পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনদের।

শুক্রবার বেলা ১১টায় বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শনিবার বেলা দেড়টার দিকে অস্থায়ী ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ চালু হয়।
ফলে দিন-রাত মিলিয়ে মোট ২৬ ঘণ্টা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে হাসপাতালের রোগী-স্বজন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রধান সুইস বিকল হয়ে যায়। এর ফলে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

বিকেলের দিকে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে জানানো হলেও সেদিন শুক্রবার হওয়ায় কোনো প্রতিকার হয়নি। পরে শনিবার স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের ঠিকাদার হাসপাতালে এসে বিকল সুইসটি খুলে মেরামতের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছেন। হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য অস্থায়ীভাবে সরাসরি সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
 
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে গেলেও ওই দিন হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগ বন্ধ থাকায় বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি দায়িত্বরত কর্মচারীরা।

বিকেলে আরএমও হাসপাতালে এসে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হলে সেখান থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় বাহিরের একজন ইলেট্রিশিয়ান আনা হলে তিনি জানিয়ে দেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রধান সুইস বিকল হয়ে গেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মেরামত কাজ তিনি করতে রাজি হননি। ফলে পুরো রাতসহ বেলা দেড়টা পর্যন্ত হাসপাতাল ছিলো বিদ্যুৎহীন।

ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যুতের জন্য হাসপাতালের পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ছিল ১০৭ জন। রোগী-স্বজন এবং হাসপাতালের কোয়ার্টারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।