‘শফিক বাহিনীর’ সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ গ্রেফতার ৬
নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া শিববাগ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলিসহ শফিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. আনিসুল হক (আনিস) ও এ বাহিনীর পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব-১১-এর একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত অন্য পাঁচজন হলেন শ্রী রাজু ভৌমিক, মো. পাপন মিয়া, মো. ফজলে রাব্বি, মো. রাব্বি ও মো. মাসুদ মিয়া। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি রিভলবার, ৭৮ রাউন্ড রিভলবারের গুলি, ৪২ রাউন্ড শটগানের গুলি, একটি চাপাতি, একটি চাইনিজ কুড়াল এবং একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় র্যাব-১১-এর অধিনায়ক কাজী শমসের উদ্দিন নরসিংদী প্রেস ক্লাব ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে গত ২৫ এপ্রিল ভোর ৪টায় নরসিংদী শহরের শিববাগ মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়।

শমসের উদ্দিন আরও বলেন, ২৬ মার্চ নরসিংদীর শীর্ষ সন্ত্রাসী শফিক বাহিনীর প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বাবু নিহত হওয়ার পর পুরো সন্ত্রাসী বাহিনী সন্ত্রাসী আনিসুল হক আনিসের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। আনিস সন্ত্রাসী শফিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল। সন্ত্রাসী রাজু ভৌমিক শফিক বাহিনীর চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অবৈধ দখলদারির সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করতো। আর সন্ত্রাসী পাপন, রাব্বী, ফজলে রাব্বী ও মাসুদ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে শফিক বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সামনে থেকে পরিচালনা করতো। তাদের চাঁদাবাজি, ডাকাতি,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নির্যাতনের ভয়ে ওই এলাকার মানুষের কথা বলার বা প্রতিকার চাওয়ার সাহস ছিল না। তাদের চাঁদাবাজির কারণে ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিল্পপতি পর্যন্ত ভয়ে ছিল। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেফ উদ্দিন, এএসপি মো. মশিউর রহমান এবং ইন্সপেক্টর মো. জহিরুল ইসলাম।
সঞ্জিত সাহা/এএম/এমকেএইচ