ইয়াবা পাচারকালে পুলিশের চাকরিচ্যুত কনস্টেবলসহ গ্রেফতার ৩
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইয়াবা পাচারকালে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪৫ পিস ইয়াবা ও নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা এবং তিনটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে চকরিয়া থানার পুলিশ চকরিয়া পৌরশহরের হাসপাতাল সড়কের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান ও ফয়েজ আহমদ ডাবুকে গ্রেফতার করা হয়।
মেহেদী দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার তালপুকুর এলাকার আজিজা রহমানের ছেলে। ঢাকার রামপুরার পূর্ব হাজিরপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ফয়েজ। তাদের মধ্যে অপরাধের দায়ে ২০১৭ সালে চাকুরিচ্যুত হন মো. মেহেদী হাসান।
সূত্র জানায়, ঢাকায় বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত অবস্থায় মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কনস্টেবল মেহেদী হাসান সাময়িক বরখাস্ত হন। এরপর থেকে মেহেদী মাদক ব্যবসায় আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ান। তিনি প্রায় সময় কক্সবাজার থেকে মাদক নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিলেন। চকরিয়া থেকে মাদক কিনতে এসে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন মেহেদী।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে মেহেদী পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে এসবির কনস্টেবল ও ঢাকায় কর্মরত বলে দাবি করেন। শনিবার সকালে তার স্ত্রী চকরিয়া থানায় এসে তাকে শনাক্ত করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, চকরিয়া পৌরশহরের একটি আবাসিক হোটেলে ইয়াবা বেচাকেনার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ মেহেদী ও ফয়েজকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এ ঘটনায় থানার এসআই মাজহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদক আইনে মামলা করেছেন। মেহেদী যেহেতু চাকুরিচ্যুত তাকে পুলিশ সদস্য বলা যাবে না। এখন তিনি অভিযুক্ত মাদক কারবারি।
অপরদিকে, পৃথক অভিযানে ৫০ পিস ইয়াবাসহ মো নুরুচ্ছবি (৩২) নামের এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে থানার এসআই আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাগলির বিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার নুরুচ্ছবি ওই ইউনিয়নের পাগলিরবিল ভিলেজার পাড়ার মৃত ছিয়ার আহমদের ছেলে। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এমএসএইচ