করোনা প্রতিরোধে খাগড়াছড়ির দুই গ্রামে ‘প্রবেশ নিষেধ’
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নিয়েছে। করোনার প্রার্দুভাব এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের দুইটি গ্রামকে লকডাউন করে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে গত শনিবার (২৯ মার্চ) থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খবংপুড়িয়া ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শব্দমিয়া পাড়া লকডাউনের আওতায় রয়েছে।
বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এ কার্যক্রম গ্রহণ করে স্থানীয় যুবকরা। সময়োপযোগী এ উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন উদ্যোগের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর সবমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন উদ্যোক্তারা।
খবংপুড়িয়া গ্রামের প্রবেশমুখ সরেজমিনে দেখা গেছে, খবংপুড়িয়া ও শব্দমিয়া পাড়ার প্রবেশমুখে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। ব্যারিকেডের বাঁশের ওপর বিজ্ঞপ্তিতে লেখা ‘বৃহত্তর খবংপুড়িয়া সচেতন যুব সমাজের উদ্যোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ’।
প্রশাসন, গণমাধ্যম ও মেডিকেল টিম এর আওতামুক্ত থাকবে। বহিরাগত কেউ যাতে এলাকায় আসতে না পারে এবং এলাকার কেউ যাতে অযথা বের হতে না পারে সে লক্ষ্যে ফটকে ফটকে বসেছে পাহারাও। পালাক্রমে গ্রামের যুবকরা এ দায়িত্ব পালন করছেন। জরুরি কাজে যারা বের হচ্ছেন ফিরে আসার সময় তাদের শরীরে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। এলাকাকে জীবাণুমুক্ত এবং করোনার বিস্তাররোধে এমন উদ্যোগ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে সমাজে।
স্থানীয় বাসিন্দা অমিও চাকমা বলেন, নিজেদের সুরক্ষায় কয়েকদিন যদি বের না হয়ে থাকতে হয় তাহলে সেটি মেনে চলতে আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। আমাদের এলাকার যুব সমাজ যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের জন্য ‘সুরক্ষা মেসেজ’।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম বলেন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার দুটি গ্রামে হাজারেরও বেশি পরিবার নিজেদের সুরক্ষায় এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করেছে। এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। পৌরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় জীবাণুনাশক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে।
এছাড়া হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে নানা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। এসব এলাকার কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/বিএ