‘বাজারে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন আব্বু, দুইদিনেই মৃত্যু’
নারায়ণগঞ্জে করােনায় আক্রান্ত হয়ে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে দুজনের মৃত্যু হলো। মৃত ওই ব্যক্তি (৬০) হোসিয়ারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তার মৃত্যুতে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
শনিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ওই ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দেওভোগের বড় আমবাগান এলাকার বাসিন্দা। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
মৃতের ছেলে বলেন, গত দুইদিন ধরে আব্বুর শ্বাসকষ্ট ও কাশি ছিল৷ প্রথমে তাকে ঢাকার মিডফোর্ডে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ পরে সেখান থেকে কুর্মিটোলা নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়৷ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করি৷ শনিবার সকাল ৯টায় বাবা মারা যান৷ পরে আইইডিসিআর থেকে লোকজন এসে পরীক্ষা করে করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
তিনি বলেন, আমার বাবার ডেথ সার্টিফিকেটেও করোনায় মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে৷ মরদেহ আইইডিসিআরের লোকজনের তত্ত্বাবধানে ঢাকার খিলগাঁওয়ে দাফন করা হয়৷ কিন্তু আমাদের পরিবারে কেউ বিদেশফেরত নেই। ব্যবসার কাজে বাজারে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আব্বু। আক্রান্ত হওয়ার দুইদিনেই আব্বুর মৃত্যু হলো।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, আইইডিসিআর থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য জানানো হয়নি৷ তবে এলাকাবাসীর মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন৷
জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরাও ডেথ সার্টিফিকেটের একটা কপি পেয়েছি৷ এলাকাবাসীও জানিয়েছেন৷ পরে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, করোনায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা যান। পরে নমুনা সংগ্রহ করলে প্রজেটিভ হয়। সংবাদ পেয়ে ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
এর আগে গত ৩০ মার্চ করােনা উপসর্গ নিয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রসুলবাগের এক নারী (৫০)। এরপর গত ২ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষায় করােনা আক্রান্তের বিষয়টি শনাক্ত হয়।
শাহাদাত হোসেন/এএম/এমএসএইচ