শ্রীপুরে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক শ্রীপুর (গাজীপুর)
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২০

গাজীপুরের শ্রীপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘরে অবস্থান করা স্বল্প আয়ের মানুষ সরকারি ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। বুধবার (২২ই এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রঙ্গীলা বাজার এলাকার কয়েকশ খেটে খাওয়া দিনমজুর, বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরে যান।

গার্মেন্টস্ শ্রমিক মালা জানান, তার স্বামী মাটি কাটার কাজ করেন। কারোনাভাইরাসের জন্য প্রায় এক মাস যাবৎ কাজে যাওয়া বন্ধ। ঘরে মজুত বলতে যা ছিল তা শেষ হয়েছে। তার দিনমজুর স্বামী এখন কর্মহীন অবস্থায় ঘরে অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় স্বামী-সন্তানসহ খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন।

গৃহিণী মার্জিনা জানান, তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। শ্রীপুরের রঙ্গীলা বাজার এলাকায় ভাড়া থেকে তিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন আর তার স্বামী ঢালাইয়ের কাজ করেন। করোনার শুরুতে বাড়িতে যেতে পারেননি। করোনার কারণে গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাস চলাচল বন্ধ থাকায় গ্রামের বাড়িতে না যেতে পেরে কর্মহীন স্বামীকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানকার অনেকেই খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে, আমরা ভাড়াটিয়া বলে আমাদের খাবার দেয় না। কিন্তু আমরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকি সেই বাড়ির মালিকদের খাবার ঠিকই দিচ্ছে।

দিনমজুর মোতাহার হোসেন বলেন, ৮-১০ দিন আগে তালিকায় নাম উঠালেও আমরা এখনও কোনো সহায়তা পাইনি। আমরা ভাড়াটিয়া, কারখানার শ্রমিক, এলাকার ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে নাকি আমাদের ত্রাণ দেবে না। আমরা না খেয়ে থাকলেও তাদের কোনো সমস্যা নেই। তাই আমাদের কষ্টের কথা আমাদের সরকারকে জানাতে এসেছি।

এ ব্যাপারে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামছুল আরিফিন জানান, এ ঘটনা শোনার পরই ওই এলাকার আমাদের একজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। স্বল্প আয়ের সকল মানুষের তালিকা করে খুব দ্রুতই খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।

শিহাব খান/আরএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।