আক্রান্ত শুনেই পালানো সেই ব্যক্তির স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
আক্রান্ত শুনেই ফোন বন্ধ করে বাসা থেকে পালানো বগুড়ার সেই রোগীর স্ত্রীও (৩০) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স। শুক্রবার (১ মে) শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শুক্রবার বগুড়ার ১২৪টি, জয়পুরহাট জেলা থেকে আসা ৬৩টি এবং সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে আসা একটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শুধু বগুড়ার ওই নার্সের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ওই নারীর স্বামী শহরের ফুলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। ঢাকায় একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। ১০ এপ্রিল তিনি বগুড়া শহরের বাসায় আসেন। ঢাকা ফেরত হওয়ায় ২৬ এপ্রিল শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে গিয়ে নমুনা দেন। ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় পাওয়া প্রতিবেদনে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। বিষয়টি তাকে মুঠোফোনে জানানো হয়। এরপর মুঠোফোন বন্ধ করে রাতেই বাসা থেকে পালিয়ে যান তিনি।
ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, আইসোলেশনে নেয়ার আগেই মুঠোফোন বন্ধ করে পালানো ওই ব্যক্তিকে গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। পরে সেখানেই তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এ ঘটনায় ওই বাড়িসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। একই সঙ্গে শহরের ফুলতলা এলাকায় ওই ব্যক্তির ভাড়া বাসা খুঁজে বের করেছে প্রশাসন। সেখানে মোট চারটি বাড়ি লকডাউন করেছে তারা। এরপর আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ব্যক্তির স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
আরএআর/এমএস