লকডাউনেও দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের ভিড়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজবাড়ীতে অনির্দিষ্টকালের লকডাউন চললেও তা মানছেন না দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (৭ মে) সকালে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে শত শত যাত্রীকে ফেরিতে উঠতে ও নামতে দেখা গেছে। এছাড়া ঘাটে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি চাপ রয়েছে ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের।
দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পুরোপুরিভাবে ২৫ মার্চ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ওইদিন থেকেই জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারে সীমিত আকারে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়। সেই সুযোগে ঢাকায় গার্মেন্টস খোলার অজুহাতে গত এক সপ্তাহে ধরে যাত্রীরা দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে আসা যাওয়া করছেন। ঘাট এলাকায় যাত্রীদের চাপ থাকলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ফেরি চলাচল করলে যাত্রীরা পারাপার হবেই। যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করেন ঘাট ইজারাদার। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপারে দুটি বড় ও চারটি ছোট ফেরি চলাচল করছে। পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত গোয়ালন্দ উপজেলায় ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত সবাই দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
রুবেলুর রহমান/আরএআর/জেআইএম