বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ০৫ জুন ২০২০
ফাইল ছবি

বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে বগুড়ার করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রে মারা যাওয়ার পর রাতে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে তার। তাকে করোনায় মৃত হিসেবে দাফন করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল।

মৃত ব্যক্তি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা শৈলার পাড়ার বাসিন্দা এবং একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের এরিয়া ম্যানেজার ছিলেন। এ নিয়ে বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুইজন এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ১১ জনের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি গত বুধবার করোনার উপসর্গ নিয়ে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রাতে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে পজিটিভ আসে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শহরের নিশিন্দারা শৈলার পাড়ায় তাকে দাফন করা হয়।

বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন বলেন, বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত দুইজন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ১১ জন। মৃত অপরজন হলেন সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম কামরুন্নাহার পুতুল।

বৃহস্পতিবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২০৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৪২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বগুড়া সদরে ২৮ জন, শেরপুরে আটজন, গাবতলী ও ধুনটে দুইজন করে এবং শাজাহানপুর ও কাহালুতে একজন করে।

সরকারি হিসাবে, এ নিয়ে বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫১৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন দুইজন, সুস্থ হয়েছেন ৪৮ জন। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৬৮ জন।

এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।