নাসিক কাউন্সিলর দিনার ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল
সংক্রমণের শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার বেশি। শুরুর দিক থেকে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাজেদা হাসপাতাল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে হাসপাতালটির চুক্তির মেয়াদ (২০২০ সালের ২১ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর) শেষ হলে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নারায়ণগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে মেয়র ও সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ করে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর (সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) আয়েশা আক্তার দিনা। মুহূর্তেই স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়।
ওই স্ট্যাটাসে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে সাজেদা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা শুরুর আহ্বান জানান কাউন্সিলর দিনা।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘মাননীয় মেয়র মহোদয় আইভি আপা, মাননীয় ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান শামীম ভাই, মাননীয় ৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান সাহেব আপনারা প্লিজ কাচপুরের সাজেদা হাসপাতালটি চালু করার ব্যবস্থা করুন। নারায়ণগঞ্জে করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমার ঘরেও করোনা রুগী। আমার স্বামীর করোনা পজিটিভ। এর মধ্যে সকালে ফোন আসলো এক পরিচিত ছোট বোন করেনায় আক্রান্ত হয়ে এখন অবস্থা খারাপ কত হাসপাতালে ভর্তি করার চেস্টা করছি কোথাও সিট খালি নাই। আমরা সবাই করোনার কাছে অসহায় হয়ে গেছি। আমার পুরা পরিবার আইসোলেশন আছি ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। আজ আমার ঘরে করোনা আসাতে হাড়ে হাড়ে বুঝতাছি যেই ঘরে করোনা আসে সেই ঘরের সদস্যরা কতটা অসহায় হয়ে পরে। মরে গেলেও কেউ আসেনা সাহস দিতে।প্লিজ আপনারা তিনজন নারায়ণগঞ্জ এর জনগন এর অভিভাবক আপনারা তিনজন সাজেদা হাসপাতালটি চালু করার ব্যবস্থাসহ আইসিউ, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর ব্যবস্থা করেন, প্লিজ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়েশা আক্তার দিনা জানান, করোনা পরিস্থিতি আবারো ভয়াবহ হচ্ছে। এ মুহূর্তে আমাদের এখানে (সিদ্ধিরগঞ্জে) করোনা হাসপাতাল প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাজেদা হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগের ৩৯টি জেলার ৯৮৩ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩১ জন রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সেবা নিয়েছেন।
এস কে শাওন/এসআর/জিকেএস