‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণায় দৌলতদিয়ায় উপচেপড়া ভিড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২১

অডিও শুনুন

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে ঢাকা ছেড়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন হাজারও মানুষ। ফলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ঘাটে ঘুরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে।

রোববার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে মানুষ আসতে শুরু করলেও ঘাটে বিকেলের দিকে চাপ বাড়তে থাকে।

jagonews24

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম দফা সরকারি বিধিনিষেধে দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট যানবাহন বা বিভিন্ন মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন যাত্রীরা। ফেরিতে গাদাগাদি করে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া প্রান্তে আসেন। পরে দৌলতদিয়া থেকে আবারও অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা হন দক্ষিণাঞ্চলের হাজারও মানুষ। এসব স্থানে বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা থেকে ফেরা হোটেল ব্যবসায়ী আবছার উদ্দিন বলেন, ‘চলমান নিষেধাজ্ঞায় এমনিতেই ব্যবসা মন্দা। তার ওপর চোর-পুলিশ খেলে ব্যবসা চালানোও অসম্ভব। এছাড়া সামনের কঠোর লকডাউন এবং রোজায় ব্যবসা এমনিতেই বন্ধ রাখতে হবে। ঝুঁকি আছে জেনেও পরিবাররে সবাইকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি।’

jagonews24

সালাম মিয়া নামের আরেকজন বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভালো না। কিন্তু সরকার তা স্বীকার করছে না। লকডাউন দিলে ভালোভাবে দেন। এভাবে সবার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করা ঠিক না। সংক্রমণের হার যে হারে বাড়ছে, তাতে আমাদের দেশের পরিস্থিতি কি হয় আল্লাহ জানে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নাই।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, ‘ছোট ও ব্যক্তিগত যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীরা নদী পার হয়ে দৌলতদিয়ায় আসছে। নদী পারের অপেক্ষায় দৌলতদিয়ায় কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল আছে। বর্তমানে এ রুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় দৌলতদিয়া দিয়ে ঘরে ফিরছে হাজার হাজার যাত্রী। বলার পরও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না যাত্রীরা।’

রুবেলুর রহমান/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।