সুরক্ষা পোশাক ছাড়াই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করোনা আক্রান্ত দম্পতি
বাগেরহাটের মোংলায় করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার দু’দিন পর তথ্য গোপন করে কোনো ধরনের সুরক্ষা পোশাক এক দম্পতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়েছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ঘুরে-ফিরে বাড়িতে যান তারা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার। পরে ইউএনও ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন।
ইউএনও কমলেশ মজুমদার জানান, উপজেলার কেওড়াতলার বাসিন্দা শামছুল হকের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী নাজমা আক্তার গত ২০ এপ্রিল করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরপর তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়। পরে খবর পাওয়া যায় ওই দম্পতি শহরে বের হয়ে রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে এক্স-রে করিয়েছেন।
করোনা শনাক্তের পরও সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমাকে হাসপাতালের (উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) মৌ ডাক্তার (চিকিৎসক) আসতে বলেছে, তাই বের হয়েছি।’
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মৌসুমী আফরোজা মৌ বলেন, ‘করোনা রোগী আবু বকর সিদ্দিককে এক্স-রে করতে বলেছি, তাই এসেছে। তবে তাকে সুরক্ষাসামগ্রী পরে আসতে বলা হয়েছে। সে তো ছোট মানুষ নয়। এখন যদি না বুঝে আমার কি করার আছে?’
বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি খোঁজ-খবর নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’
এরশাদ হোসেন রনি/এএএইচ