যশোরে এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের নির্দেশ
অবশেষে করোনা পরিস্থিতিতে যশোরে সব এনজিও প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজি মো. সায়েমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে জোর করে কিস্তি আদায়ের ঘটনায় জাগো নিউজসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। তিনি লকডাউনের সময় কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধের আদেশ দিয়ে নির্দেশনা জারি করেন।’
বেনাপোল ও শার্শা উপজেলায় লকডাউনের সময়ে ভুক্তভোগী খেটে খাওয়া ঋণ গ্রহীতা যখন তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি কিস্তি আদায়ের জন্য ধরনা দিচ্ছেন, চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে। মামলার ও ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা চালান।
এ নিয়ে ২৪ জুন ‘বেনাপোলে লকডাউনেও কিস্তির জন্য চাপ এনজিওদের শিরোনামে জাগোনিউজ২৪.কম-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই দিন বিকেলে জেলা প্রশাসন কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেয়। এতে খেটে খাওয়া বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নেয়া মানুষজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
২৪ জুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহামারি করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার যশোর জেলায় অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সময় সময় জারিকৃত পরিপত্র এবং এবং জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ফলে শ্রমজীবী, কৃষক, ভ্যান রিকশাচালক, চায়ের দোকানসহ নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এ অবস্থায় জেলায় কর্মরত সব এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হল।
মো. জামাল হোসেন/এসজে/এএসএম