যাত্রীশূন্য সড়কে অসহায় রিকশাচালকরা
করোনা সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে সারাদেশে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এ সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকশা চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু চলমান বিধিনিষিধে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ রয়েছে। একপ্রকার যাত্রীশূন্য সড়কে বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা।
এ অবস্থায় তাদের সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দু’বেলা অন্নের সংস্থান করাই তাদের বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৩ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল, মিজমিজি ও সাইনবোর্ড এলাকা ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, যাত্রী না থাকায় বেশিরভাগ রিকশাচালক বসে থেকে অলস সময় পার করছেন। মাঝে মধ্যে হঠাৎ দু-একজন যাত্রী পাওয়া যায়। যা দিয়ে দুই বেলার খাবারের টাকাও তারা আয় করতে পারছেন না।
মিজমিজিতে লুৎফর রহমান নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘আগে কামাই ভালোই আছিল। তখন প্রতিদিন ৮০০-৯০০ টাকা থাকতো। এহন সকালে রিকশা লইয়্যা বাইর হইয়া আড়াই ঘণ্টায় ৬০-৭০ টাকা কামাই করছি। সারাদিনে ৩৫০-৪০০ টাকা কামাই হয়। কিন্তু এর মধ্যে ৩০০ টাকাই জমা দেওন লাগে গ্যারেজে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কঠিন সময় কাটতাছে এহন। ঋণ কইরা বাসার লাইগ্যা বাজার সদাই করণ লাগে। লকডাউনে বড়ই কষ্টে আছি।’
সাইনবোর্ড এলাকার ইউসুফ নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘ভোর থেইকা দুপুর পর্যন্ত রিকশা চালায়া ২০০ ট্যাকা কামাই করলাম। লকডাউনের শুরুতেই বাজার খারাপ অইয়্যা গেছে। সব খরচ বাদ দিয়া সারাদিনে সংসারের খরচের লাইগ্যা ২৬০ টাকা থাহে। এহন কোনোরকম সংসার চলতাছে আরকি।’
শিমরাইল মোড়ে মো. শামীম শেখ নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘সকাল ৭টা থাইকা দুপুর ১টা পর্যন্ত রিকশা চালায়া ২৫০ ট্যাকা পাইছি। আগে সকালতে দুপুর পর্যন্ত রিকশা চালাইলে ৪০০-৫০০ ট্যাকা থাকতো। এহন যে অবস্থা চলতাছে, রিকশার জমার ট্যাকা উঠাইতেই কষ্ট হইতাছে। রাস্তাঘাটে তেমন যাত্রীও নাই।’
এসকে শাওন/এসজে/এমকেএইচ