হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধর, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের এক নারী কর্মচারীকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) হাসপাতালের সামনে বগুড়া-শেরপুর রোড অবরোধ করেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা। পরে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা। আহত জয়নাব বানু আশাকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আয়া পদে কর্মরত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আশা বলেন, আমিসহ হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী কোয়ার্টারের একটি পরিত্যক্ত ভবনে থাকি। হাসপাতালের বিপরীত পাশের ওই কোয়ার্টারে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী নিয়মিত আড্ডা দিতো। আমরা তাদের সেখানে প্রবেশে নিষেধ করি। এরপর বুধবার বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে কোয়ার্টারের বাসায় যাওয়ার সময় চত্বরে রাশেদ কাজী ভন্ডু নামের এক সন্ত্রাসীকে সেখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখি। তাকে সেখানে ঢোকার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চেষ্টাও করে।
হাসপাতাল কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে এসে আশাকে ভর্তি দেখে বুধবারের ঘটনাটি জানতে পারি। আশা আমাদের জানান ওই ঘটনা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমীন কাজলকে জানালে তিনি থানায় অভিযোগ দিতে বলেন।
আশা থানায় রওয়ানা দিলে কিছুক্ষণ পর আরএমও তাকে ফোন করে বলেন, থানা পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগেই অভিযোগ দিতে হবে না, পুলিশ গিয়ে ভন্ডুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর অভিযোগ দিলেই চলবে। এটা শুনে আশা হাসপাতালে ফিরে যান। অথচ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল চত্বরেই হামলাকারী ভন্ডু তার স্ত্রীর দোকানে বসেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মচারীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ গিয়ে হামলাকারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ায় তারা অবরোধ তুলে নেন।
যোগাযোগ করা হলে আরএমও ডা. শফিক আমীন কাজল বলেন, পুলিশ বিষয়টি সম্ভবত গুরুত্ব দেয়নি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানায় জানানোর পর তারাই অভিযোগ পরে দিতে বলেন অথচ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মচারীরা রাস্তায় নামেন।
বগুড়া সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, থানা থেকে অভিযোগ পরে করতে বলার তথ্য সঠিক নয়। হামলাকারীকে আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। আহত ওই কর্মচারীকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
জেএস/জেআইএম