ইজতেমার ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করলেন সা’দ অনুসারীরা

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে রোববার (২২ জানুয়ারি) টঙ্গীতে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব শেষে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সা’দপন্থিদের কাছে মাঠ হস্তান্তর করেছে মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা।
বিকেলে বিশ্ব ইজতেমা-২০২৩ এর কেন্দ্রীয় সমন্বয় কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা মাঠ প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেন তারা।
মাওলানা সা’দ অনুসারী দ্বিতীয় পর্বের মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক মাওলানা সা’দ কান্ধলভী অনুসারীদের কাছ থেকে মাঠ বুঝে নেওয়া হয়েছে। মাঠ এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধের কারণে এবারও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। ১৩-১৫ জানুয়ারি মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা ইজতেমার প্রথম পর্ব পালন করেন। এর দুদিন পর ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হয় সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীদের। তারা ২০ জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু করেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ হয়।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে সা’দ কান্ধলভী অনুসারীদের মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক বুধবার বিকেলে প্রশাসনের কাছে মাঠ হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে সা’দ অনুসারীরা প্রশাসনের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেওয়ার আগে সকালে জুবায়ের অনুসারী কিছু মুসল্লি ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় সা’দ অনুসারীদের সঙ্গে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘সকালে মাওলানা জুবায়ের সাহেবের অনুসারী প্রায় দুই শতাধিক লোক ময়দানে প্রবেশ করেছিলেন। পরে আমরা আপত্তি করলে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন তাদের মাঠ থেকে বের করে দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ইবিট লিও
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল জুবায়ের অনুসারীরা ময়দান তৈরি করবেন আর সা’দ সাহেবের অনুসারীরা ময়দান খুলবেন। সে হিসেবে আমরা মাঠের শামিয়ানা খোলাসহ যাবতীয় কাজ করতে চাই। সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাঠ জেলা প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। জেলা প্রশাসক আমাদের বলেছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাছ থেকে যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে সে মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমিনুল ইসলাম/এসআর/এএসএম