জাতীয় শিশু পুরস্কার পাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের উপমা
বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা-২০২১ এ জাতীয় পর্যায়ে উপস্থিত বক্তৃতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে জারিন তাসনিম উপমা। উপমা হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের শৈলজুড়ায় স্থাপিত প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ উপমার হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন। সারাদেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে উপমা তৃতীয় স্থান অর্জন করায় প্রাণ আরএফএল পাবলিক স্কুলে দেখা দিয়েছে আনন্দের বন্যা। উপমার সহপাঠীসহ শিক্ষক-শিক্ষিকারা খুব আনন্দিত।
আরও পড়ুন: শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রাণ-আরএফএল স্কুলের সাফল্য
২২ ডিসেম্বর ‘জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০২০-২১’ ঢাকার সাভারে জাতীয় শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশ থেকে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে তিনজন শিক্ষার্থীকে বেছে নেন বিচারক মণ্ডলী। নির্বাচিত তিনজনের মধ্যে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থী উপমা তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
জারিন তাসরিন উপমা জাগো নিউজকে বলে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পরেই আমি বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেই। এবারের জাতীয় শিশু পুরষ্কারে অংশ নিয়ে উপজেলা-জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হই। কিছুদিন আগে জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছি। উপস্থিত বক্তৃতার জন্য প্রচুর পড়েছি। একই সঙ্গে শিক্ষকদের সহযোগীতায় আর বাবা মার কারণেই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। সত্যিই আমি অনেক খুশি। আমি আরও এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিযোগিতার পুরষ্কারটি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ স্যার দিচ্ছেন এজন্য আমি আরও বেশি আনন্দিত।
আরও পড়ুন: জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পাচ্ছে ৭১ প্রতিষ্ঠান
উপমার বাবা আরএফএল গ্রুপের বিজলি ক্যাবলসের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবুল বাশার বলেন, উপমার চেষ্টা ও শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগীতার কারণেই এ সাফল্যে অর্জন করতে পেরেছে। তার অর্জনে আমি ও আমার পরিবারের সবাই গর্বিত। আমি সবার কাছে দোয়া চাই আমার মেয়ে যেন আরও এগুতে পারে। দেশের জন্য কিছু করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, স্কুলের পড়াশোনার বাইরেও উপমা বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে। বইয়ের প্রতি তার আলাদা নেশা। মোবাইল বা খেলাধুলা তার তেমন পছন্দ না। যেকোনো ধরনের বইয়ের প্রতি তার আগ্রহ বেশি।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতার সম্মাননা পেলো প্রাণ ডেইরিসহ ১৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অধ্যক্ষ মো. মুবিনুল হক চৌধুরী বলেন, উপমার এ সাফল্য নিঃসন্দেহে আমাদের সবার জন্য গৌরবের ও আনন্দের। আসলে আমাদের স্কুলটি শুধুমাত্র পড়াশোনা কেন্দ্রিক না এখানে ন্যাচারাল লিডারশীপ হিসেবে যেভাবে গড়ে তুলা হয় শিক্ষার্থীদের আমরাও সেভাবে গড়ে তুলার চেষ্টা করি। আমাদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, বক্তৃতা, বিতর্ক, গান, নাচসহ সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে জোড় দেই। খেলাধুলায়ও আমারদের শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা স্কুল ও মাদরাসা শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৬টি ইভেন্টের মধ্যে আমারদের স্কুল ১৩টি তে প্রথম হয়েছে। এছাড়াও ভলিবলে তারা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। টেবিল টেনিসে বিভাগীয় পর্যায়ে রানারআপ হয়েছে। একাডেমিক ভাবেও তাদের সফলতা অনেক। গত এসএসসির রেজাল্টে হবিগঞ্জের একমাত্র স্কুল প্রাণ-আরএফএল যেখানে শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/জেএস/জিকেএস