কারাগারে বগুড়া মম ইন ইকো পার্কের ব্যবস্থাপক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩

বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের করা ১০ লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ না করায় মম ইন ইকো পার্কের ব্যবস্থাপককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্যবস্থাপক জাকিরুল ইসলাম জাকিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ার সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর একাংশে মাটি ভরাট করে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে বগুড়ার ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘকে (টিএমএসএস) ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও ফিরোজা পারভীন। আদেশে বলা হয়, জরিমানার অর্থ অনাদায়ে টিএমএসএসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নজিবর রহমান তিনমাসের কারাভোগ করবেন। কিন্তু টিএমএসএস জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেনি।

সন্ধ্যার পর প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা অভিযুক্ত জাকিরুল ইসলাম জাকি নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর জরিমানা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত জাকিরুলকে কারাগারে পাঠান।

শনিবার (১৮ মার্চ) নদী ভরাটের অভিযোগ পেয়ে টিএমএসএসের ইকোপার্কে ইউএনও ফিরোজা পারভীন অভিযান চালান। পরে কাগজপত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম। তিনি দাবি করেন, যে জায়গা ভরাট করা হচ্ছে সেটি তার নিজের জায়গা। পরে হোসনে আরা বেগমের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

মুচলেকায় বলা হয়, টিএমএসএস যদি নদীর জমি ভরাট করে বা নদীর সীমানা অতিক্রম করে তাহলে দুই পক্ষের সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করা হবে। এতে অপরাধ প্রমাণ হলে সাজা মেনে নেওয়া হবে। পরে সোমবার দুপুরে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি অফিস এবং টিএমএসএসের সার্ভেয়াররা একসঙ্গে করতোয়া নদীর সীমানা চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেন।

ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, ‘শনিবার এসে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও সেটি অমান্য করে কাজ চলমান রাখে টিএমএসএস। এখানে করতোয়া নদীর মূল প্রবাহকে বাধগ্রস্ত করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যেটি বলা হয়েছিল এলাকার মানুষ করেছেন। তবে আমি সরেজমিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তারা এটা করেননি এবং তারাও চান না নদীর স্রোত বন্ধ হোক। তারা জানিয়েছেন, টিএমএসএসের নির্দেশে এ কাজ চলছে।’

তিনি বলেন, নদী ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এজন্য টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হলে টিএমএসএসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নজিবর রহমান তিনমাসের কারাভোগ করবেন।

এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।