রাজবাড়ীর হাসপাতাল সড়ক যেন নিজেই ‘অসুস্থ’

রাজবাড়ী জেলা শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা হলো হাসপাতাল সড়ক। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে পাবলিক হেলথ মোড় থেকে দুই নম্বর রেলগেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া গর্তে পড়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সড়কটির দুইপাশে রয়েছে সরকারি দুটি হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, স্কুল-কলেজ, বিদ্যুৎ অফিস, জেলা আনসার কমান্ডন্টের কার্যালয়, খাবার হোটেল, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের অফিস। দ্রুত রাস্তটি সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পথচারী, ব্যবসায়ী ও যানবাহনের চালকরা। এছাড়া রাস্তার ধুলাবালিতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সড়কের পাশে অবস্থানকারীরা।
রাজবাড়ী বড় বাজারে প্রবেশের একমাত্র বিকল্প পথ হাসপাতাল সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রোগীদের যাতায়াতসহ ছোট-বড় যানবাহন বাজারে প্রবেশ ও শহরের বাইরে আসা-যাওয়া করে। এছাড়া সড়কটি পৌরসভার মূল সড়কের বাইপাস হওয়ায় বড় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল করে। ফলে সড়কটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
পথচারী আলম মিয়া বলেন, গাড়ির চাপে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে ভয় লাগে। ছোট ছোট যানবাহনের পাশাপাশি বড় বড় বালু ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এসময় কিছু কিছু স্থানে ধুলায় চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। রাস্তার অনেক স্থানে ভাঙা। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার প্রয়োজন। তা না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাস্তার ধুলায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সব মালামালের ওপর ধুলা পড়ে পুরাতন মনে হয়। ঘণ্টায় ঘণ্টায় ধুলা মুছতে হয়। তাছাড়া গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তাটি সংস্কার হলে সবার মতো তারাও উপকৃত হবেন।
গাড়িচালক জনি শেখ বলেন, এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কিন্তু ভাঙাচোরার কারণে রাস্তাটি দিয়ে চলার উপায় নেই। গর্তে চাকা পড়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। রোগীদের নিয়ে খুব সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়। ঝাঁকুনিতে রোগী ও গাড়ির সমস্যা হয়। পৌরসভার মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি অবহেলায় পড়ে আছে।
দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতু বলেন, বালুবাহী ও বাজারের মালবাহী বড় বড় ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছরও রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে কিন্তু আবারও বিভিন্নস্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য একটি প্রজেক্টে রাস্তাটি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত কাজ শুরু হবে। শহরের একটি বাইপাস সড়ক প্রয়োজন। যেটি নিয়েও আলোচনা চলছে।
এমআরআর/জেআইএম