আইন-শৃঙ্খলার অবনতি
চুয়াডাঙ্গায় ৫০ দিনে ৮ খুন

হঠাৎ করেই চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে হত্যাকাণ্ড। অবনতি হতে শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সহজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাচ্ছে অপরাধীরা। একের পর এক ঘটছে অপরাধ। জোড়া খুনসহ আটটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৫০ দিনে। অন্য অপরাধও বাড়ছে। মাদক, রাজনৈতিক প্রশ্রয় ও কিশোর গ্যাংয়ের কারণে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হত্যার ঘটনায় মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘুরেফিরে বেশকিছু কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় অপরাধীদের সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে উঠেছে বলে দাবি সচেতন মহলের। অনেকে জেলার বাইরে বদলি হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অল্প সময়েই চুয়াডাঙ্গায় ফিরে এসে গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগদান করছেন।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল তল্লাশিতে মিললো ১১ কেজি রুপার গহনা
খুলনা রেঞ্জ থেকে মার্চ মাসের তদন্ত ও অপরাধ দমন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় চুয়াডাঙ্গা শ্রেষ্ঠ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে নির্বাচিত হন। একইসঙ্গে জানুয়ারি মাসের তদন্ত ও অপরাধ দমন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সদর সার্কেল ও শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে সদর থানা নির্বাচিত হয়। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক বিপিএম (বার) পিপিএমের কাছ থেকে জেলা পুলিশের তিন কর্মকর্তা পুরস্কার গ্রহণ করেন। অথচ মার্চ মাসেই তিনটি হত্যাকাণ্ডসহ অন্য অপরাধগুলো সংঘটিত হয়। রেঞ্জ শ্রেষ্ঠের পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান লালন ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল।
সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় একসঙ্গে চারটি থানার অফিসার ইনচার্জদের বদলি করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন বদলি হয়েছেন এক থানা থেকে অন্য থানায়। এর আগে দর্শনা থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজলকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব পান তিনি। সাবেক পুলিশ সুপারের কারণে তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। এখনও তিনি স্বপদে রয়েছেন। আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলামকে বদলি করে দামুড়হুদা থানায়, দামুড়হুদা থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহেদকে বদলি করে শিল্পনগরীর দর্শনা থানায় ও জেলা অপরাধ শাখার ওসি বিপ্লব কুমার নাথকে আলমডাঙ্গা থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সাতক্ষীরার কলরোয়া থানা থেকে বদলি হয়ে আসা নাসির উদ্দিন মৃধাকে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ ছেলেকেই সমান ভাগ দিতে চাওয়ায় বাবাকে কোপালেন এক ছেলে
৫০ দিনে চুয়াডাঙ্গায় সাতটি ঘটনায় আটজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। চলতি বছরের ৭ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বখাটেদের ছুরিকাঘাতে সজল ও মামুন নামের দুই যুবক নিহত হন। নিহত দুজনের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভালাইপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা নিয়মিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলছেন না । হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে ইউনিয়নবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ১৫ ও অজ্ঞাত ১৫ জন আসামি রয়েছে। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার হৃদয় হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের মর্জিনা খাতুনকে তার সাবেক স্বামী ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে ২০ এপ্রিল। পরদিন উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের সাবেক স্বামী রুবেল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় সরদারপাড়ার আশরাফ আলী সরদার ইজিবাইক চালক। ২০২৩ সালের ৭ মার্চ রাতে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি স্থানীয়দের জানান। পরদিন দুপুরে তার লাশ পাওয়া যায় দামুড়হুদা উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও হত্যা রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। ইজিবাইকটিও উদ্ধার হয়নি।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার ভ্যানচালক কিতাব আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত ব্যক্তি কল দিলে ১৮ এপ্রিল রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন। পরদিন সকালে গ্রামের একটি মাঠে তার জবাই করা লাশ দেখতে পায় কৃষকরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামিরা পালাতক।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জোড়া খুনের ঘটনায় আরও এক যুবক গ্রেফতার
আলমডাঙ্গা উপজেলার পোলবাগুন্দা গ্রামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ হয়। ১৫ মার্চ রাতে ফন্টু মন্ডল তার স্ত্রী ডালিমা খাতুনকে মাঠে পেঁয়াজ তোলার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন বিকেলে গ্রামের সাবাসবিলের মাঠে সোলার পাইপের কাছে রক্ত ও চুল পড়ে থাকতে দেখে নিহতের স্বজনরা। ওই নারীর লাশ গুম করতে স্বামী পাইপের ভেতরে ফেলে দেন। পাইপের ভেতরে স্বজন ও স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গার জহুরুলনগর গ্রামে ১১ মার্চ রাতে ইউপি নির্বাচন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে দবির মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। দবির মোল্লা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ মার্চ মারা যান। এ ঘটনায় দুজন জেলহাজতে। বাকিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
জীবননগর পৌর এলাকার পোস্ট অফিস পাড়ার আবু সাঈদ নামের এক ব্যবসায়ী গত ২ এপ্রিল ভোরে নামাজ পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হন। ৬ এপ্রিল সকালে আঁশতলাপাড়ায় নবনির্মিত একটি ভবনের লিফটের চেম্বার থেকে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছ। পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।
হত্যার পাশাপাশি অপহরণ, মাদক, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে শুরু করায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিহতের পরিবার আতঙ্ক ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে। তাদের দাবি, প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হোক। আটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার সঙ্গে জড়িত ছয়জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মূল অপরাধীরাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। চুয়াডাঙ্গার ইজিবাইকচালক আশরাফ আলী সরদার ও জীবননগর উপজেলার ব্যবসায়ী আবু সাঈদ হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে এ দু’টি হত্যা রহস্য অন্ধকারেই রয়েছে বলে পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন: কাপড়ের দরদামকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে ২ যুবক খুন
নিহত কিতাব আলীর স্ত্রী রাবিয়া খাতুন বলেন, শিশুসন্তান নিয়ে বর্তমানে আতঙ্কে রয়েছি। গ্রেফতারদের পরিবারের সদস্যরা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। স্বামীকে হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। অপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি।
জীবনগরের আবু সাঈদের বাবা রইচ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে এলাকায় ভালো ছেলে ছিল, কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না। তার কোনো বদনাম নেই। পুলিশ মূল হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আমরা চাই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হোক।
আশরাফ আলী সরদারের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন বলেন, স্বামী হত্যার কোনো কূলকিনারা হয়নি। খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। পুলিশ এখন পর্যন্ত ইজিবাইকটি উদ্ধার করতে পারেনি। আমার মেয়ের আগের স্বামী বিদেশে বসে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পুলিশ বলছে, ইস্যু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে দেশে ফেরার ৭ দিনের মাথায় স্বামী খুন হয়। রুবেল ও তার বোনজামাই মিলেই আমার স্বামীকে হত্যা করেছে।
গ্রেফতার আসামিদের পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করুক। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। গ্রেফতারের আগে তদন্ত ও শনাক্ত করুক।
চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট খন্দকার অহিদুল আলম (মানি খন্দকার) বলেন, জেলায় অল্প দিনে খুনসহ অন্য অপরাধ হঠাৎ করে বেড়েছে। আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি। কিশোর গ্যাং, মাদক ও রাজনৈতিক নেতাদের তদবির রয়েছে। নতুন অফিসার এলে অপরাধীদের সঙ্গে সখ্য কম থাকে। ঘুরে ফিরে জেলার ভেতর কর্মস্থল বদলি করলে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। কারণ পুরাতন অফিসারদের সঙ্গে অপরাধীদের সখ্য বজায় থাকে। একই ওসিরা ঘুরেফিরে জেলার বিভিন্ন থানায় যোগদান করছেন। তারা কেউ জেলা ছেড়ে যাচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক কারবারিকে গলা কেটে হত্যা
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন, লক্ষ্য করছি চুয়াডাঙ্গা জেলায় বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ দ্রুত সময়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে বিচারের আওতায় এনে সুবিচারের ব্যবস্থা করলে সামাজিক অবক্ষয় রোধ পাবে। জেলার সাধারণ মানুষ এখন নিরাপদ নয়।
চুয়াডাঙ্গায় সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলেও নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইলেন পুলিশ সুপার। বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে জেলায়। সর্বশেষ সামান্য বিষয় নিয়ে দু’টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যারহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আটটি হত্যাকাণ্ডে পূর্বপরিকল্পনার আভাস কম পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক যেটাই থাকুক ঘটনাগুলো উত্তেজনাবশত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সতর্ক করতে মাইকিং
বদলি প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্তঃজেলার মধ্য বদলি প্রক্রিয়া কর্মমূল্যায়ন করে হচ্ছে। বদলিজনিত কারণে অপরাধ কম বা বেশি হচ্ছে এমন কোনো দাবি করা যাবে না। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা কারাগারে আছে। দু’টি ঘটনার এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমবে।
পুলিশের অনেকে বিভিন্ন কারণে চুয়াডাঙ্গায় ফিরে আসেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসএইচএস/এএসএম