শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রীকে হত্যার পর পালালেন স্বামী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ০৮ জুলাই ২০২৩

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী হোসনা আক্তারকে (১৯) বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়েছেন স্বামী। এই ঘটনার পর থেকে স্বামী সুজন মিয়া পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের হিরারকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত হোসনা আক্তার ওই এলাকার আয়নুল হকের মেয়ে। পলাতক সুজন মিয়া শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার খাইরুল ইসলামের ছেলে।

তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আনুমানিক এক বছর আগে পারিবারিকভাবে সুজন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় হোসনা আক্তারের। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য প্রায়ই তাদের ঝগড়া হতো। শুক্রবার সুজন মিয়া স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাত ৮টার দিকে যৌতুকের টাকা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ঝাগড়া হয় সুজনের। পরে রাতের খাবার খেয়ে সুজন ও হোসনা ঘুমাতে যান।

সকালে হোসনাকে ঘরে একা বিছানায় এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারের লোকজন। এ সময় সুজন মিয়াকে ডাকাডাকি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে হোসনা আক্তারকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া না দেওয়ায় তিনি মারা গেছে বুঝতে পেরে চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হোসনা আক্তারকে যৌতুকের টাকার জন্য বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর সুজন পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। সুজন মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।