বিজিএমইএ-চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বৈঠক

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে বন্দরের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ জরুরি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং বন্দরকে সুরক্ষিত ও গতিশীল করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটির সহায়ক কমিটির সদস্য ও নেতারা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এম ডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিজিএমইএর প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, বিজিএমইএর প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, সাইফ উল্লাহ মনসুর এবং বিজিএমইএ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজিএমইএর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, চট্রগ্রাম বন্দর রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ (৮১.২৯ শতাংশ) আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে।

মো. আনোয়ার হোসেন পোশাক শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়াও তিনি শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বন্দর সেবার ওপর আরোপিত বিভিন্ন চার্জ ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেন।

আলোচনাকালে বিজিএমইএ প্রশাসক পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত এলসিএল পণ্য খালাস দ্রুততরকরণ এবং টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেমের অ্যক্সেস দেওয়ার মাধ্যমে বন্দর ব্যবহারকারীদের একটি আধুনিক বন্দর উপহার দেওয়ার ওপর জোর দেন। তিনি বন্দরে বিস্ফোরক ও ডাম্পিং দ্রব্য অপসারণের মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্ষমতা ও ইমেজ বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরে আধুনিক সরঞ্জাম ও দক্ষ জনবল দিয়ে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানিতে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের অবদানের প্রশংসা করে বলেন, এ শিল্প দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড।

তিনি বলেন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনে সচেষ্ট রয়েছে।

বন্দরকে আরও গতিশীল ও আধুনিক করা এবং বন্দরের সামর্থ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে বিজিএমইএর নেতাদের আশ্বস্ত করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। তিনি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নে বিজিএমইএ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারসহ সব মহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এএমএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।