হরতাল-অবরোধের প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবোরধ-হরতালের প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। টানা চার কার্যদিবস পতন হয়েছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে। ধীরগতি টাকার অংকে লেনদেনেও। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও দেশের উভয় শেয়ারবাজারে ব্যাপক সূচক পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ কার্যদিবসে মধ্যে ৮ কার্যদিবস দরপতন ঘটেছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার ২০ দলীয় জোটের ডাকা দুই বিভাগে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন বুধবার (আজ) পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা লেনদেনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে না একই সঙ্গে সাধারন বিনিয়োগকারীরাও আসছে না। ফলে দিনে দিনে লেনদেন কমছে শেয়ারবাজারে।
বুধবার দিন শেষে দেশের প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচক ৭৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৮৩ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৩৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ২৮১ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৩৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বা ১৪ শতাংশ বেশি। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৪৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার।
বুধবার ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ২৪৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির শেয়ার দর। টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছে- সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড, গ্রামীণফোন, এনভয় টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, ব্রাক ব্যাংক এবং বেক্সিমকো ফার্মা।
অন্যদিকে একই দিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসই সার্বিক সূচক ২১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক ১২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৮৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৯৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির। এদিন ৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসআই/এএইচ