সোনালী ব্যাংকের এমডি

এ বছর হলমার্ক কেলেঙ্কারির অর্থ অনেকটাই উদ্ধার হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ০১ জানুয়ারি ২০২৩

‘হলমার্কের বড় বড় সম্পদ থাকায় সেগুলো সহজে বিক্রি করা যাচ্ছে না। পুরো অর্থ ফিরে পেতে সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে পুরোটা না হলেও নতুন বছরের মধ্যে হলমার্ক গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির অর্থ অনেকটাই উদ্ধার করতে পারবে সোনালী ব্যাংক।’

রোববার (১ জানুয়ারি) সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আফজাল করিম এ কথা জানান। ব্যাংক খাতে সোনালী ব্যাংকের সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন ও সার্বিক ব্যবসায়িক পরিস্থিতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আফজাল করিম বলেন, হলমার্কের যে মামলা চলছে তার অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে তাদের যে সম্পত্তি আছে সেগুলো এখনো বিক্রি করা যায়নি। আমাদের কমিটি এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। তাদের সম্পত্তিগুলো আমরা আদালতের মাধ্যমে বিক্রি করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি বিকল্প পন্থায়ও বিক্রির প্রচেষ্টা চলছে।

মূলত অনেক বড় সম্পত্তি হওয়ার কারণে ক্রেতা পাওয়া কষ্টকর হচ্ছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত। সম্পত্তি যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি হয়েছে। এ কমিটি সরাসরি গিয়ে সম্পত্তিগুলো যাচাই করে প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পত্তিগুলো বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করা হবে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এমডি বলেন, বিগত ২০২২ বছর শেষে রেকর্ড ২ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। ২০২১ সাল শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ব্যাংকটির আমানত ও ঋণের আনুপাতিক হার এ বছর ৬০ শতাংশ, যা গত বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ৮৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সদ্য সমাপ্ত বছরে দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে সোনালী ব্যাংক। যদিও আগেই অনানুষ্ঠানিকভাবে সবচেয়ে বেশি মুনাফা অর্জনের তথ্য জানিয়েছিল ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড।

তিনি বলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ভেতরেও সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি দেখিয়েছে। দেশের ব্যাংক খাত এগিয়েছে। আশা করছি, অচিরেই শ্রেণিকৃত ঋণ আরও কমে আসবে। প্রফিট বাড়ায় অচিরেই আমাদের মূলধন ঘাটতি কমে আসবে। এবছর আমাদের এনপিএলের তুলনায় পারফর্মিং লোন বেড়েছে। এটি আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

এসময় তিনি জানান, বিগত বছরে সোনালী ব্যাংক গুরুত্ব দিয়েছে সিএমএসএমই লোনে। বড় অঙ্কের লোন তেমন দেওয়া হয়নি। মূলত ১৫ হাজার কোটি লোন বেড়েছে সিএমএসএমই ও এনজিও লিংকেজের মতো লোন থেকে। এছাড়া খাদ্য, সার ও পেট্রলিয়ামসহ বিদায়ী বছর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এলসিগুলো মধ্যে ৪১ হাজার কোটি টাকার এলসি খুলেছে সোনালী ব্যাংক। দেশের স্বার্থে সোনালী ব্যাংক এসব কাজগুলো করে যাচ্ছে। এলসি থেকে ব্যাংকের কোনো ক্ষতি হয়নি। মূলত সরকারি এলসিগুলো নামমাত্র কমিশন মূল্যে খোলা হয়েছে যা এলসি থেকে আয় খুব কম ১০০ টাকায় কখনো ৪০ বা ৮০ পয়সার মতো।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সোনালী ব্যাংকের কোনো এলসি পেন্ডিং নেই বলেও জানান তিনি।
দেশের ব্যাংক খাতের মধ্যে সবচেয় বড় হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। যার দেশের অভ্যন্তরে মোট ১২২৯টি শাখা রয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে ২টি শাখা রয়েছে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

বর্তমানে ব্যাংকটিতে মোট আমানত রয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। সে হিসাবে বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি আমানত এখন সোনালী ব্যাংকে। এই বিপুল আমানত যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে আগামী দিনে সব সূচকে ব্যাংকটি ভালো করবে বলে মনে করেন ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইএআর/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।