সিপিডি

ব্যাংক খাতের ‘স্বাস্থ্য’ ভালো করতে স্বাধীন কমিশনের বিকল্প নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২৩ মে ২০২৪

ব্যাংক খাতের ‘স্বাস্থ্য’ ভালো করতে ও সুশাসন ফেরাতে স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যাংক খাতের সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ কথা জানান।

ড. ফাহমিদা বলেন, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বাংলাদেশ ব্যাংক) স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তারা নিজেরা স্বাধীন বলা হলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের অধীনস্থ করা হচ্ছে বা কাজ করতে হচ্ছে, অথচ তারা স্বাধীন। এ অবস্থায় ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্য ফেরাতে স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কোনো বিকল্প নেই। যারা (কমিশন) ব্যাংকের সার্বিক স্বাস্থ্য দেখবে এবং তুলে ধরবে। তবে কেবল কমিশন গঠন করলেই হবে না, স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতাও থাকতে হবে কমিশনের।

আরও পড়ুন

এর আগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফলতার মুখ দেখেনি।

খেলাপি ঋণ নিয়ে ড. ফাহমিদা বলেন, গত ১০ বছরে খেলাপি ঋণ চারগুণ বেড়েছে। এর আগে যেখানে ৪২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ছিল, সেখান থেকে বেড়ে এখন এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায় এসেছে। খারাপ অবস্থানে শুধু সরকারি ব্যাংক না, বেসরকারি ব্যাংকও একই অবস্থানে। তবে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলো ভালো আছে। ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে তথ্য দিচ্ছে না, তার মানে তারা সেটা ফুলফিল করতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকে ক্রমান্বয়ে তারল্য সংকট দেখা দিচ্ছে। শরীয়া খাতের ব্যাংকটিতে ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তারল্য ছিল ৩৯ শতাংশ। তবে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকটির তারল্য ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ইসলামী ব্যাংকের ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মালিকানা পরিবর্তন হয়।

ইএআর/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।