মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার, চাহিদা কম বিদেশি ফলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০০ পিএম, ২৫ মে ২০২৪
বিদেশি ফলের দাম ও চাহিদা কমেছে

দেশের বাজারে এখন আম, লিচু, কাঁঠালসহ নানান ফলের সমারোহ। ফলে ভরপুর এই মৌসুমে বাজারে আধিপত্য কমেছে বিদেশি ফলের। চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি ফলের দামও কমেছে বাজারে।

জানা গেছে, ফলের বাজারে এখন সবুজ আপেল প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। লাল আপেল পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে। দু-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে এসব আপেলের দাম।

এর চেয়েও বেশি কমেছে মাল্টার দাম। ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি মাল্টা। গত রোজার মধ্যে এই মাল্টার দাম উঠেছিল ৩৮০ টাকা পর্যন্ত। ঈদুল ফিতরের কিছুদিন পর থেকে দাম কমে এ অবস্থায় এসেছে।

মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার, চাহিদা কম বিদেশি ফলের

শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আরও পড়ুন
দিনাজপুরে হাজার কোটি টাকার লিচু বিক্রির আশা

পাইকারি ও খুচরা ফল বিক্রেতারা বলেন, দেশি ফলের একদম ভরা মৌসুম চলছে, যে কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কমেছে। দামও কমছে।

আপেল, মাল্টা ছাড়াও নাশপাতি কমলার দামও নিম্নমুখী। তবে আঙুর ও আনারের দাম এখনো আগের মতো।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কমলা ৩৫০ টাকা, আঙুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, নাশপাতি ২৫০ থেকে ২৬০ এবং আনার ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার, চাহিদা কম বিদেশি ফলের

রামপুরা বাজারের খুচরা ফল বিক্রেতা এনামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে দেশি আম ও লিচুতে ভরপুর। এখন বিদেশি ফলের দিকে ক্রেতার নজর নেই। যে কারণে দাম কমছে, আরও কমবে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিদেশি ফলের দাম চড়া ছিল। এখন দাম কমার কারণে ক্রেতাদের মধ্যেও স্বস্তি এসেছে। যদিও তারা এখন আম লিচু নিয়ে ব্যস্ত।’

বাজারের তথ্য বলছে, গত রমজানে বিদেশি ফলের দাম অস্বাভাবিক ছিল। ওই সময় আপেল, কমলা ও মাল্টার মতো বিদেশি আমদানি করা ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার জন্য বাড়তি দরে শুল্কায়ন ও ডলার সংকটকে দায়ী করেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে এখনো সেই ডলার-শুল্কায়ন সমস্যা কাটেনি। তবে চাহিদা কমার কারণে দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল করিম।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রমজানের চেয়েও এখন ডলারের দাম বেশি। শুল্ক-করও এর মধ্যে কমানো হয়নি। আমদানিকারকরা এখনো কিছু জটিলতার মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু এখন ফলের চাহিদা একদম কম। যে কারণে সমস্যা থাকলেও কিছুটা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

এনএইচ/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।