জানালেন ডাকসুর জিএস

ঢাবি শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে হবে ‘ডিজিটাল কমপ্লেইন বক্স’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতারা/ ছবি: জাগোনিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে শিগগিরই ‘ডিজিটাল কমপ্লেইন বক্স’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাকসুর নব নির্বাচিত জিএস এসএম ফরহাদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে নবনির্বাচিত নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ফরহাদ।

এসএম ফরহাদ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য ‘ডিজিটাল কমপ্লেইন বক্স’ চালু করা হবে। আমরা সমস্যা অনুযায়ী টিম করে দিবো। সেই টিম তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করবে। এছাড়াও ক্যানটিন স্টাফ ও ম্যানেজারদের ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে ভাবছি।’

ফরহাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সাংবাদিক সমিতিকে আমি সবার আগে রাখি। ফ্যাসিবাদের চরম সময়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সাহসী ভূমিকা রেখেছে। এসময় ডাকসুর সব আর্থিক কার্যক্রম অডিটের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিও দেয় নতুন নেতৃত্ব।

অনুষ্ঠানে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে যেমন সেমিস্টারের জন্য সময় বরাদ্দ থাকে, তেমনি ডাকসু নির্বাচনের জন্যও বাধ্যতামূলক সময় নির্ধারণ করতে হবে। আমরা চাই প্রতিবছর নির্বাচনের আয়োজন হোক এবং শিক্ষার্থীদের মতামত ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডাকসু সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অবদানের কথা উল্লেখ করে ভিপি সাদিক বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সাংবাদিক সমিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। হাসিনার আমলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস না পেলেও ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন। নির্বাচনকালেও সাংবাদিকরা দিনরাত পরিশ্রম করে ভোটারদের আস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুরক্ষা দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি বলেন, ডাকসুর প্রতিনিধিরা বর্তমানে সিনেটের সদস্য হলেও সিন্ডিকেটের সদস্য নন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট থেকেই আসে। তাই ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সিন্ডিকেটে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ আরও জোরালোভাবে প্রতিফলিত হবে।

এফএআর/এমএমকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।