এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের গাইডলাইন তৈরি বৃহস্পতিবার
করোনা পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সব শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান সভায় বসবেন। সেখানে পরীক্ষা শুরুর একাধিক প্রস্তাব তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, টানা ছয় মাস পিছিয়ে গেলেও করোনার কারণে এখনো এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সবকিছু ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষাবোর্ড। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান সভায় বসছেন। সেখানে কখন কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়া যায় সে বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেটি অনুমোদন হলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে তিনটি প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর স্বল্প পরিসরে পরীক্ষা নেয়া। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তবে জেএসসি-এসএসসি এবং কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের মূল্যায়নের ওপর ফল (গ্রেড) ঘোষণা দেয়া যেতে পারে। অথবা আগামী মার্চ পর্যন্ত এ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষার প্রস্তাবও তৈরি করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সচিব তপন কুমার জাগো নিউজকে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে এইচএসসি পরীক্ষা কীভাবে নেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। পরীক্ষা কবে ও কীভাবে নেয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ, করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করছে। এছাড়া স্কুলে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কীভাবে নেয়া যায় সে বিষয়েও সভায় আলোচনা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেয়া হবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা কবে শুরু করা হবে।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পরীক্ষা কোন পন্থায় নেয়া যায় সে বিষয়েও সভায় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ‘ইনোভেশন টিম’ গঠন করা হয়েছে। এ টিম করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রস্তাব তৈরি করবে। ইনোভেশন টিমে উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি), ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তৈরি করবে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত প্রস্তাব।
এমএইচএম/এএইচ/পিআর