ব্রিটিশ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না


প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বলেছেন, বিট্রিশ উপনাবেশিক ধারায় আমরা যে বিচার ব্যবস্থা পেয়েছি তাতে কর্মক্ষম লোকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট করে দেয়া হচ্ছে। সকাল ৯টার পর থেকে সারাদিন কোর্ট এলাকায় কর্মক্ষম লোকেরা ঘুরে বেড়ায়। তাদের কর্মঘণ্টা নষ্ট করতে উকিলসহ সংশ্লিষ্টরা বসে থাকেন। এ রকম সমাজব্যবস্থায় রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারে না।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুরে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সাফল্য ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল “জেলা লিগ্যাল এইড” অফিসবিষয়ক জনসচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তেব্য এসব কথা বলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশ হিসেবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে জহিরুল হক বলেন, মামলা-মোকদ্দমার উৎসমুখ বন্ধ ও বিদ্যমান মামলাগুলো বিকল্প উপায়ে নিষ্পত্তি করে সমাজব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কেউ মামলা নিয়ে আসলে তা গ্রহণ না করে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা করেন। এতে কর্মক্ষম লোকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না, সমাজ উপকৃত হবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, কোনো অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যখন বাড়ে তখন সামাজিক শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যে হারে বাড়বে নৈতিকতার মান তার চেয়ে দিগুণ হারে কমবে। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও জাতির জনকের সঙ্গে বেঈমানি না করে তাই সময় এসেছে সামাজিক শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাসের উপযোগী রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

রংপুর জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদের সভাপতিত্বে আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ সাইফুল ইসলাম। গত পাঁচ বছরে ১৯৪২ জন নারী ও পুরুষকে রংপুর জেলা লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে এসময় উল্লেখ করা হয়।

জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে এবং সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের বাস্তবায়নে আয়োজিত সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক কেজি মোস্তফা, বিভাগীয় স্পেশাল জজ নরেশ চন্দ্র, পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়সিন্ধু তালকুদার, সিভিল সার্জন আহাদ আলীসহ বিচারক, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, উপজেলা চেয়ারম্যান, লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য, আইন সহায়তা প্রার্থী, প্যানেল আইনজীবী ও এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ।

জিতু কবীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।