শিক্ষা ক্যাডার বিলোপের প্রক্রিয়া দেখছি: শাহেদুল খবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শিক্ষা ক্যাডার বিলোপের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষা ক্যাডার বিলোপের প্রক্রিয়া দেখছি। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের শিক্ষাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন বৈষম্য তুলে ধরা ও তা নিরসনে কর্মসূচি ঘোষণা করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তর থেকে শিক্ষা ক্যাডারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শীর্ষ পদে শিক্ষা ক্যাডারের বাইরের কেউ থাকায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জন করে মাধ্যমিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারছেন না। একই পরিস্থিতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরেও।

তিনি বলেন, শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস প্রস্ফুটিত করার জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া দরকার, সেসব উদ্যোগ নেওয়ার পথে বাধা আছে। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আমাদের প্রশাসনে যারা রয়েছেন, তাদের দিক থেকে মূল বাধাটা আসছে। ফলে রাজনৈতিক সরকারের বিভিন্ন সদিচ্ছা থাকলেও তা বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

কেন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা বহু জায়গায়। জনপ্রশাসন, অর্থসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হয়। আমরা অনেক সময় দেখি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজটি সম্পন্ন হলেও অন্য মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি আটকে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে, এটি হচ্ছে বাস্তবতা।’

২ অক্টোবর কর্মবিরতি ঘোষণা
এদিকে, সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করা, শিক্ষা ক্যাডারকে নন-ভ্যাকেশন সার্ভিস ঘোষণা করে অর্জিত ছুটি দেওয়া, ক্যাডার কম্পোজিশন সুরক্ষা নিশ্চিত করা, প্রাথমিক ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ বিধি বাতিল করা, শিক্ষা ক্যাডারের পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ও শিক্ষা ক্যাডারে প্রয়োজনীয় পদ সৃজনের দাবি জানানো হয়।

দাবি আদায়ে আগামী ২ অক্টোবর কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরও সরকার দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার পদক্ষেপ না নিলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতারা জানান, কর্মবিরতির দিন তারা নিজ নিজ দপ্তরে যাবেন এবং বিকেল পর্যন্ত অবস্থান করবেন। কিন্তু কোনো দাপ্তরিক কাজ করবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংঠনের মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা। এসময় অন্যদের মধ্যে সমিতির সহ-সভাপতি মো. মামুল উল হক, ড. আ জ ম রুহুল কাদীর, যুগ্ম মহাসচিব বিপুল চন্দ্র সরকার, প্রচার সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।