১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারিতে, আসছে বড় পরিবর্তন
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হতে পারে। এ নিবন্ধন থেকে বেশকিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্র। বিশেষ করে শূন্যপদ না থাকলে সেই বিষয়ে নিবন্ধন পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়টি বেশি আলোচনায় রয়েছে।
এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নিবন্ধন পরীক্ষায় সংযোজন-বিয়োজন নিয়ে সভা করা হবে। ওই সভায় সবকিছু চূড়ান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘নিবন্ধন পরীক্ষায় বেশকিছু পরিবর্তনের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে এগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সনদ অর্জনের পর প্রার্থীদের যেন বসে থাকতে না হয়, আমরা সেই চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন
- ১৭টি নিবন্ধন পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬.৮৪ শতাংশ
- ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবি
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট কাটাতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির প্রস্তাব
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা কম। ডিসেম্বরের মাত্র ২০ দিন বাকি রয়েছে। এ সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। আগামী বছরের শুরুতে অর্থাৎ, জানুয়ারির দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য কাজ চলছে।’
শূন্যপদ না থাকলে নিবন্ধন পরীক্ষা নয়
এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করার পরও অনেক প্রার্থী বেকার থাকছেন। বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
আলোচনায় পদ ফাঁকা না থাকলেও নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। সেজন্য যেসব বিষয়ে শূন্য পদ থাকবে না সেসব বিষয়ের নিবন্ধন পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হলে ১৯তম নিবন্ধন থেকে এ নিয়ম চালু হতে পারে।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ১৮টি নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে ১ লাখের বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এএএইচ/এমএএইচ/