গবেষণার জন্য ৩০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা রেখে নীতিমালা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৯ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
উচ্চতর গবেষণার জন্য ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নীতিমালা তৈরি করেছে সরকার

উচ্চতর গবেষণার জন্য ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন গবেষকরা। তাছাড়া গবেষণায় সহায়তা করার জন্য নির্বাচিতদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া যাবে। এজন্য গবেষণা বাস্তবায়ন নীতিমালা তৈরি করেছে সরকার। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গবেষণা নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত নীতিমালা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নীতিমালার ‘গবেষণা সহায়তা বরাদ্দ প্রণয়ন, গবেষণা প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ, ছাড় ও ব্যবহার’ ক্যাটাগরিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেটের সচিবালয় অংশে শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা কর্মসূচি খাতে বরাদ্দ রাখা হবে। স্টিয়ারিং কমিটি প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করবে। গবেষণা সহায়তা বরাদ্দ সম্পূর্ণভাবে প্রতিযোগিতামূলক রেটিং ও স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক যাচাইকৃত ব্যয় প্রাক্কলনের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

আরও পড়ুন: 

এতে আরও বলা হয়, প্রতি অর্থবছরে সহায়তা বরাদ্দ প্রকল্পের অগ্রগতি বিবেচনা সাপেক্ষে প্রকল্পের অনুকূলে বিভাজিত বরাদ্দ ছাড় ও বিতরণ করা হবে। গবেষণা অগ্রগতি সন্তোষজনক প্রতীয়মান না হলে অর্থ প্রদান স্থগিতকরণ, পুনঃতফসিলীকরণ বা বরাদ্দের পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ করা যাবে। গবেষণা প্রস্তাবের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ বছর ও সর্বোচ্চ বরাদ্দের পরিমাণ ৩০ লাখ টাকা হতে পারে। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে স্টিয়ারিং কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে অধিক বরাদ্দ দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করা যাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, গবেষণা প্রকল্পের অনুকূলে ছাড়কৃত অর্থ সরকারি আর্থিক বিধি বিধান অনুসারে ব্যয়/সমন্বয় করতে হবে। ৩০ জুনের মধ্যে ছাড়কৃত অর্থের সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে এবং ব্যয় বিবরণী (ভাউচারসহ) পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ব্যানবেইস এ দাখিল করতে হবে; গবেষণা সহায়তা প্রাপ্ত প্রকল্পের অব্যয়িত অর্থ ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে।

যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া গবেষণার ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হলে গবেষণা সহায়তা স্থগিত বা বাতিল করা যাবে। সহায়তার অর্থ গবেষণা উপকরণ সংগ্রহ, গবেষকগণের সম্মানী, গবেষণা বৃত্তি, দেশি-বিদেশি গবেষণা সফর, গবেষণা জরিপ ব্যয়, গবেষণা সেমিনার, গবেষণা প্রকাশনা এবং গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরি স্থাপন কাজে ব্যয় করা যাবে।

গবেষণা শেষে গবেষণার জন্য ক্রয়কৃত উপকরণাদির বিষয়ে স্টিয়ারিং কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তবে গবেষণা পরিচালনার স্থল/প্রতিষ্ঠান/বিভাগ ক্রয়কৃত উপকরণাদি প্রাপ্তির বিষয়ে অগ্রাধিকার পাবে।

আরও পড়ুন: 

নীতিমালার ১১ নম্বর ধারায় গবেষণা সম্মানীর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, এ নীতিমালার আওতায় কোনো গবেষণা কার্যক্রমে নিয়োজিত মুখ্য গবেষক ও সহকারী গবেষকগণ গবেষণা পরিচালনার জন্য বাৎসরিক যথাক্রমে ৭০ হাজার টাকা ও ৪৫ হাজার টাকা সম্মানী প্রাপ্য হবেন। গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাবের মূল ব্যয় বিভাজনে গবেষকগণের সম্মানী অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কোনো গবেষণা প্রকল্পের ক্ষেত্রে পিএইচডি, এমফিল ও মাস্টার্স পর্যায়ে অধ্যয়নরত ছাত্রদের গবেষণা সহকারী হিসেবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে মাস্টার্স ও এমপিএইচ/এমফিল এবং পিএইচডি/এফসিপিএস/এমডি পর্যায়ের গবেষকরা এবং গবেষণা সহকারীর সম্মানীর পরিমাণ হবে যথাক্রমে ১০ হাজার, ১৫ হাজার, ২৫ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা। মাস্টার রোল শ্রমিক বাবদ প্রতিদিন ৫০০ টাকা হারে (মাসে সর্বোচ্চ ১০ হাজার) দেওয়া যাবে।

স্টিয়ারিং কমিটি, বাছাই ও মনিটরিং কমিটি, সম্পাদকীয় কমিটির সদস্যগণের সভায় উপস্থিতির সম্মানী ও রিভিউয়ারগণের গবেষণা প্রস্তাব রিভিউকরণের সম্মানী স্টিয়ারিং কমিটির অনুমোদনের ভিত্তিতে অর্থ বিভাগ হতে বিভাজন অনুমোদন সাপেক্ষে প্রাপ্য হবেন বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে।

এএএইচ/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।