প্রতুলকে হারিয়ে যা বললেন সুমন-অনুপমরা

কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলার সংগীত অঙ্গনে। তার চিরবিদায়ে শিল্পীরা শোক সাগরে ভাসছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানাচ্ছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জনপ্রিয়শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র তার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘যাদের জন্য আমি বাংলায় গান গাই, তাদের মধ্যে প্রতুলদা একজন।’ অন্যদিকে স্মৃতির সরণি বেয়ে প্রয়াত শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করলেন কবীর সুমন এবং অনুপম রায়।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের কাছে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান কবীর সুমন। তিনি বলেন, ‘খুব ভুগছিলেন প্রতুলদা। তিনি শান্তি পেলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মন তো মানে না। আর কোনোদিন তাকে দেখতে পাব না। তার সঙ্গে বসে কোথাও হাসাহাসি করতে পারব না। উনি ছিলেন একজন আনপ্যারালাল পারফর্মার। এমন কিছু কবিতায় তিনি সুর দিয়েছেন যেমন, “বাবরের প্রার্থনা”, যেগুলো প্রতুলদা ছাড়া অন্য কেউ ভাবতে পারবেন না।’
সুমন আরও বলেন, “প্রকৃত নীরিক্ষামনস্ক বাঙালি নাগরিক, বাংলাভাষী সংগীতকার যদি এ জীবনে দেখে থাকি, তিনি প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার ধারে কাছে শুধু আমি কেন, কেউ নেই। তার সঙ্গে একটি দুটি অনুষ্ঠানে আমি কিবোর্ডও বাজিয়েছি। সে বহুদিন আগের কথা। অনেকে হয়তো জানেনও না। উনি খালি গলাতেও সুরে গাইতেন। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গানের কোনো রিমেক নেই। করা যাবেও না। ‘ছোকরা চাঁদ’ গানটার কথা মনে করে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। ওটাও কবিতা থেকেই করা।”
‘আমি বাংলার গান গাই’ অনুপম রায়ের কণ্ঠেও শুনেছেন সংগীতপ্রেমীরা। যে গানের স্রষ্টা প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার অন্তিম যাত্রায় শোক জানিয়ে অনুপম রায় বলেন, ‘প্রতুল মুখোপাধ্যায় এমন একটা নাম, এমন একটা শিল্পী, যিনি আজীবন অমর হয়ে থাকবেন তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। তার গালের মধ্যে দিয়ে। তিনি হয়তো চলে গেলেন, কিন্তু তার সৃষ্টি, তার কণ্ঠস্বর বারবার শুনব আমরা।’
- আরও পড়ুন:
‘আমি বাংলায় গান গাই’ শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় মারা গেছেন
বরিশাল ছেড়ে যাওয়া প্রতুল হলেন কলকাতার কিংবদন্তি
অনুপম আরও বলেন, “আমি প্রতুলদার বড় ভক্ত। খুবই ব্যতিক্রমী শিল্পী ছিলেন। তার গান গাওয়ার ধরন আর পাঁচজনের থেকে আলাদা ছিল। সংগীতজগতের অপূরণীয় ক্ষতি। ‘লাল কমলা হলদে সবুজ’ বলে যে গানটি উনি কবিতা থেকে অনুবাদ করে সুর দিয়েছিলেন, সেটা আমার বড় প্রিয়। গানের সঙ্গে যেভাবে গল্প করে বলতেন, সেটা আমার আজীবন মনে থাকবে।”
এমএমএফ/জেআইএম