মনের দুঃখে স্ট্যাটাস লিখলেন ঐশী

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২১

ফাতেমাতুজ জাহরা ঐশী। গানকে করেছেন জীবনের পাথেয়। তার কণ্ঠে বৈচিত্র্যময় আমেজ শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। তরুণ বয়সেই পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। শিল্পী জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও ঘরে তুলেছেন এই গায়িকা।

ব্যক্তিজীবনে হাসিখুশি ও মিশুক বলে সুনাম আছে ঐশীর। তার চমৎকার ব্যবহার ও বিনয়ের কথাও বলেন অনেকে। সোশাল মিডিয়াতেও দেখা যায় রয়ে সয়ে চলেন। সেই তিনি হঠাৎ ক্ষেপে গেলেন কেন? সম্প্রতি তার এক স্ট্যাটাস পড়ে এই আলোচনাই চলছে সবখনে।

ফেসবুকে ঐশী লিখেছেন, ‘দুর্বল এবং ব্যর্থ মানুষের চিৎকার অনেক জোরে হয়। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা ব্যাকবোন লেস শিল্পীরা একটা মর্যাদার আসনে আসীন হচ্ছি, এমন সময় শকুনের নজর কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিল্পী সমাজের জন্য কে কি করতে পারে তার অজস্র প্রমাণ ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে । মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে কার কতটুকু অবদান আছে তার প্রমাণও রয়েছে। কালো বিড়াল কখনো ফর্সা হয় না। থলের বিড়াল থলে থাকাই ভালো।

চিৎকার করে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি উন্নয়ন হয় না, কাজে প্রমাণ করা লাগে। অসংখ্য মেরুদণ্ডহীন শিল্পী এর প্রমাণ অলরেডি পেয়ে গেছে। সুতরাং, মেরুদণ্ডহীন শিল্পীদের দণ্ডের আর প্রয়োজন নেই।'

ঐশীর ইশারাসূচক এইসব কথার অর্থ ধরতে পারেননি অনেকেই। কণ্ঠশিল্পী সায়েরা রেজা এ বিষয়ে ঐশীকে প্রশ্ন করেন। ওইশী তখনই বিষয়টি খোলশা করেন।

ডাক্তারি পড়ুয়া ঐশী বলেন, ‘মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমার বয়স কিন্তু বেশি না। আমার এখন শেখার সময়। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের কাজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় স্ট্যাটাসটা দিয়েছি। আমরা নেগেটিভ কিছু শিখতে চাইনা। কভিড-১৯ আসার পর ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকগুলো ভালো উদ্যোগ দেখেছি, কিন্তু সবই দেখলাম বাধার সম্মুখীন। তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে, শিখব কিভাবে।

ঐশী প্রশ্ন করেন, 'নেগেটিভ শিক্ষা দিয়ে কি আমরা চলতে পারব? এজন্যেই মনের দুঃখে স্ট্যাটাসটা দিয়েছে, অন্য কিছু না। আশা করব সিনিয়ররা বিষয়টা বুঝতে পারবেন, আমাদের শেখার সুযোগ করে দিবেন।’

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।