ভিন্ন পরিচয়ে গায়ক সাইদুল ইসলাম

তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী আর্ট সাইদ ওরফে সাইদুল ইসলাম। লাভ কক্সবাজার, দ্য ব্রিটেন মিউজিক এবং ফার্স্ট লাভ অন মিউজিকের মাধ্যামে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ভাইরাল হন।
গানের প্রসঙ্গে আর্ট সাইদ ওরফে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গানের প্রতি আমার ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসা, আর গানের মিউজিকগুলো আমায় ভিশনভাবে টানতো। তাই আমি মিউজিককেই বেছে নিয়েছি নিজের জন্য। এর জন্য আমার পরিবার থেকেও অনেক কথা শুনতে হয়েছে।
তারপরেও আমি গান নিয়েই চলছি। বেশ কিছু প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা হচ্ছে। সঙ্গে সলো ও ডুয়েট নিয়ে শিগগিরই কিছু মিউজিক করবো।’
এছাড়াও কলকাতার জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর গায়ক, গীতিকার চন্দ্রদেব বাসুর সাথেও নিয়মিত আলোচনা ও যোগাযোগ হচ্ছে নতুন কাজের ব্যাপারে, জানালেন সাইদুল।
গানের বাইরে সাইদুল ইসলাম ইসলামের আরও এক পরিচয় হলো তিনি একজন উদ্যোক্তা, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং পেইন্ট পরামর্শদাতা।
ব্যবসায়িকভাবে প্রথম তার যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। তিনি সাইদুল ইসলাম আর্ট সাইদ নামে একটি কোম্পানি খোলেন। যা এখনো চলমান। টিম আর্ট সাইদ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে থাকে। আর্ট সাইদ শুধু একাই নন তার একটি বিশাল দলও রয়েছে। যারা আর্ট সাইদ নামের ব্যানারে সাইদুল ইসলাম এর অধীনে কাজ করে।
২০১৯ সালে তার টিম কক্সবাজার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডে মারমেইড ইকো-ট্যুরিজমের অধীনে ‘100-মাইল আর্ট গ্যালারি’ নামে একটি শিল্প প্রকল্পের কাজ শেষ করে। বর্তমানে আর্ট সাইদের অধীনে চল্লিশটিরও বেশি কাজের প্রকল্প রয়েছে চলমান।
তার প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়্যাল টিউলিপ সী পার্ল বিচ রিসোর্ট, হোটেল সী শাইন, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, হোটেল গোল্ড স্যান্ডস, হোটেল বিচ ওয়ে, হোটেল বে হিলস, ওয়াইল্ড ক্যাফে বান্দরবান, মারমেইড ক্যাফে রাঙ্গামাটি, গাজী রিসোর্ট খুলনা, মারমেইড গ্যালারি ক্যাফে ঢাকা, আর্ক প্লাজা চট্টগ্রাম ইত্যাদি।
এলএ/জিকেএস