সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন নিপুণ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জটিলতা ছিল। প্রথম দিকে নির্বাচনের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরে স্থগিত হয় সাধারণ সম্পাদকের পদ।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে নির্বাচন নিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে হয় সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের। অবশেষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে সম্পাদক হিসেবে নিপুণ আক্তার দায়িত্ব পালন করবেন বলে নির্দেশ দেন। এ কারণে আজ (২১ নভেম্বর) এক সম্মেলন আয়োজন করেন নিপুণ।
নিপুণ প্রথমে সংবাদ সম্মেলনে আসা গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি বলেন, ‘নয় মাস ধরে আপিল বোর্ডের সবাই আমার সঙ্গে একটা যুদ্ধ করে গেছেন। উচ্চ আদালত একটা সঠিক রায় দিয়েছেন। আমি মহামান্য উচ্চ আদালতের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। আদালত সঠিক রায় দিয়েছেন।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘আজ নয় মাস ধরে এটা নিয়ে অনেক কিছু হচ্ছিল। কখনো আমি থাকবো বা কখেনো আমার অপজিশন যিনি তিনি থাকবেন। তবে আমার একটা বিশ্বাস ছিল।
আমি এবং কাঞ্চন ভাই সততার সঙ্গে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের সব নিয়ম যথাযথভাবে পালন করেছি। নিয়মনীতির বাইরে একদম্ই যাইনি। সেজন্য আমরা খাবারও পাইনি, পানিও পাইনি। একটা ওয়াশ রুম ব্যবহার করতে পারিনি। সব মেনে নিয়েছি। তবে আমার বিশ্বাস ছিল সত্যের জয় হবে। আপনারা সবাই পাশে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আপনাদের কারণেই এই দুর্নীতিগুলো সবার সামনে উঠে এসেছে।’
নির্বাচনে টাকা লেনদেনের ব্যাপারে নিপুণ বলেন, “আমরা একটা গান বানিয়ে ছিলাম, ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ’- সে গানটা নিয়েও আপত্তি ছিল। সেই গানটাই আজ সত্যি হলো। টাকা নিয়ে ভোট কেনা হচ্ছিল আমি সেটাই প্রমাণ করেছি।”
নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ ফিরে পাওয়ার এই খবরে আনন্দে ভাসছে শিল্পী সমিতি। সাধারণ সম্পাদককে বরণ করতে সদস্যরা ছুটে আসেন এফিডিসিতে। ঢাকঢোল বাজিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে করে ফুল নিয়ে আসেন শিল্পীরা। তারা নিপুণকে ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরণ করে নেন।
এসময় নিপুণের সঙ্গে আরও ছিলেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মামনুন ইমন। আরও ছিলেন আরমান, জেসমিন, ডি এ তায়েবসহ অনেকেই।
এমআই/এমএমএফ/জিকেএস