নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী
আজ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা শেষে, আজিমপুরে কবরে শায়িত হবেন
ঘুড্ডি ছবির নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী মারা গেছেন গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর)। গুণী নির্মাতার দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আজিমপুর কবরস্থানে বিকেলে আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে সমাহিত করা হবে। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে জোহরের নামাজের পর দেড়টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে পাশে সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীকে দাফন করা হবে।’
সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকীর এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা দুজনেই কানাডায় থাকেন। যে কারণে নির্মাতার দাফনের বিষয়ে দু’দিন পরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর অন্যতম কৃতিত্ব ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র ‘ঘুড্ডি’। এই ছবির কাহিনি লিখে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০২১ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
ঘুড্ডি ছবির নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী আর নেইঘুড্ডি ছবির নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী আর নেই সম্প্রতি তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় দুটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেন। একটি’ অপরাজেয় একা’ অন্যটি’ ক্রান্তিকাল’। ‘অপরাজেয় একা’ সেই নামের ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
ঘুড্ডি বাংলা ছবির ইতিহাসে একটি মাইলফলক। সিনেমার প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুবর্ণা মুস্তাফা। এই সিনেমায় কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা ও হ্যাপি আখান্দের গাওয়া ‘আবার এল যে সন্ধ্যা’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
এরপর ‘লাল বেনারসি’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। নব্বই দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।
এমআই/এএসএম