বুরকিনা ফাসোতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আট এনজিও কর্মী আটক
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে নেদারল্যান্ডের একটি মানবাধিকার সংস্থার (এনজিও) আট কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, মালি ও বুরকিনা ফাসোর নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার।
দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রী মাহামাদু সানা মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই ইন্টারন্যাশনাল এনজিও সেফটি অর্গানাইজেশন (আইএনএসও)এর কর্মী। সংস্থাটি মানবিক সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়তা প্রদান করে।
জানা গেছে, অনুমতি ছাড়া সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সংস্থাটিকে তিন মাসের জন্য কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। সেই সময় সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টরকেও অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নিরাপত্তা মন্ত্রী অভিযোগ করেন, নিষেধাজ্ঞার পরও কিছু কর্মী গোপনে তথ্য সংগ্রহ ও বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের এ ধরণের কার্যক্রম বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ তথ্য প্রেরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
তবে, মঙ্গলবার(৭ অক্টোবর) আইএনএসও এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন বলে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা যে তথ্য সংগ্রহ করে তা গোপন নয় এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যই ব্যবহৃত হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, তারা আটকে থাকা সহকর্মীদের নিরাপদ ও দ্রুত মুক্তি নিশ্চিতের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।
বুরকিনা ফাসো, প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাহেল অঞ্চলের চরমপন্থী সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালে ইব্রাহিম ট্রায়োরে ক্ষমতা দখলের পর সামরিক জান্তা স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিলেও বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ৬০ শতাংশেরও কম এলাকায়।
আরও পড়ুন>>
ইব্রাহিম ট্রাওরে কেন আলাদা: বুরকিনা ফাসোর তরুণ নেতার গল্প
এনজিওগুলো বলছে, জান্তা সরকার সমালোচকদের দমন ও সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে দেশজুড়ে জিহাদিবাদী গোষ্ঠী ও সরকারি বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ইব্রাহিম ট্রাওরের সরকার ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করেছে। চলতি বছর দুই দেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে একসঙ্গে কাজের ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র : ইউরো নিউজ
কেএম