উত্তর কোরিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম
উত্তর কোরিয়ায় সামরিক কুচকাওয়াজে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে। এই কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, এই কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন বিদেশি বিশিষ্ট অতিথিরাও।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাত থেকে শুরু হওয়া এ কুচকাওয়াজটি অনুষ্ঠিত হয় শাসক ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, যা বৃহস্পতিবার থেকেই নানা আয়োজনে উদ্যাপিত হচ্ছিল।
এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং, রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল,এবং ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান তো লাম।
কুচকাওয়াজে উত্তর কোরিয়া প্রদর্শন করে তাদের সবচেয়ে উন্নত হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যেটিকে কেসিএনএ বর্ণনা করেছে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা হিসেবে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করা হলেও, এর নির্দেশনা ব্যবস্থা ও বায়ুমণ্ডলীয় পুনঃপ্রবেশের সময় ওয়ারহেড টিকে থাকার ক্ষমতা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখনো সন্দেহ রয়েছে।
মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর বিশেষজ্ঞ আঙ্কিত পাণ্ডা বলেন, হোয়াসং-২০ আপাতত উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘপাল্লার পারমাণবিক সক্ষমতার শীর্ষ প্রতিফলন। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত একাধিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
কুচকাওয়াজে দেওয়া ভাষণে কিম জং উন বলেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী শুধু দেশের প্রতিরক্ষায় নয়, বরং সমাজতান্ত্রিক উন্নয়নের প্রান্তিক ঘাঁটিতেও তাদের বীরত্ব প্রদর্শন করবে।
কিম বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীকে এমন এক অজেয় শক্তিতে পরিণত হতে হবে, যা সব ধরনের হুমকি নিশ্চিহ্ন করতে পারে।
শুক্রবার কিম জং উন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মেদভেদেভ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়া উত্তর কোরীয় সৈন্যদের ত্যাগ দুই দেশের সম্পর্কের প্রতি পারস্পরিক আস্থার প্রমাণ।
কিম জানান, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার ও বহুমুখী বিনিময় বাড়ানোর প্রত্যাশা করেন, যাতে সাধারণ লক্ষ্যগুলো অর্জন করা যায়।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম