গাজা শান্তি পরিকল্পনা

ট্রাম্পের প্রস্তাবে জাতিসংঘে ভোট, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান চায় রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৮ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও গণহত্যা/ ছবি : এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করার খসড়া প্রস্তাবের ওপর আগামীকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোট দেবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, খসড়া প্রস্তাবে গাজায় ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি অন্তর্বর্তী শাসন কাঠামো গঠনের কথা বলা হয়েছে যার তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ কাঠামোর মেয়াদ থাকবে ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত। প্রস্তাবে ভবিষ্যতে একটি সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, একটি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (আইএসএফ)’ গঠনের অনুমোদন চাইবে জাতিসংঘ। মিশরের নেতৃত্বে গঠিত এ নিরাপত্তা বাহিনীতে সৈন্য পাঠাবে তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, আজারবাইজান ও সৌদি আরব। বাহিনীটি ইসরায়েল ও নবগঠিত ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে গাজার সীমান্ত নিরাপত্তা ও নিরস্ত্রীকরণে ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন>>
মিশরের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠন, অর্থ বরাদ্দ কত?

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিশর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, জর্দান ও তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম-প্রধান দেশ দ্রুত এ প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে একটি পাল্টা খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে। রাশিয়ার প্রস্তাবে ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন ‘বোর্ড অব পিস’ গঠন বা আন্তর্জাতিক বাহিনী তাৎক্ষণিক মোতায়েনের অনুমোদন নেই। তবে যুদ্ধবিরতি সমর্থনের পাশাপাশি সেখানে দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানকে স্পষ্টভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের প্রস্তাব পাশ না হলে হামাসের পুনরুত্থানের ঝুঁকি রয়েছে এবং ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে পুনরায় যুদ্ধ শুরু হতে পারে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৯ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৮ জন আহত হয়েছে।

কেএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।