অরুণাচলকে আবারও নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করলো চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
অরুণাচলকে আবারও নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করলো চীন/ ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস, গ্রাফিকস: জাগোনিউজ

ভারতের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আবারও অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে চীন। পাশাপাশি, সাংহাই বিমানবন্দরে অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নাগরিককে আটকে রাখার অভিযোগও অস্বীকার করেছে বেইজিং।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, জাংনান (অরুণাচল প্রদেশকে চীনের দেওয়া নাম) চীনের ভূখণ্ড। ভারত যে অবৈধভাবে অরুণাচল প্রদেশ নামে একটি অঞ্চল গঠন করেছে, সেটিকে আমরা কখনো স্বীকৃতি দেইনি।

গত ২১ নভেম্বর সাংহাই বিমানবন্দরে পেমা ওয়াং থংডক নামে অরুণাচল প্রদেশের এক নারীকে ১৮ ঘণ্টা ধরে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। তার পাসপোর্টে জন্মস্থান হিসেবে অরুণাচল প্রদেশ উল্লেখ থাকায় তা ‘অবৈধ’ বলে দাবি করে চীনা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>>
অরুণাচলের আরও ২৭ জায়গার নতুন নাম দিলো চীন, তীব্র প্রতিক্রিয়া ভারতে
অরুণাচলের কাছে ৩৬টি বিমান বাংকার বানিয়েছে চীন, চরম উদ্বেগে ভারত
অরুণাচল নিজেদের দাবি করে ভারতীয় নারীকে হয়রানির অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে

ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় নয়াদিল্লি। ভারত বলেছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণ করার পূর্ণ অধিকার রাখেন।

চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ওই নারীকে আটকানো হয়নি বা হয়রানি করা হয়নি। মাও নিং বলেন, আইন অনুযায়ী নিয়মিত তল্লাশি করা হয়েছে। কোনো জোরপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং তার আইনগত অধিকার সংরক্ষিত ছিল।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অখণ্ড অংশ। চীনের অস্বীকারে এই বাস্তবতা বদলাবে না।

২০২৩ সালে চীন একই কারণে অরুণাচল প্রদেশের কয়েকজন ভারতীয় ক্রীড়াবিদকে ‘স্ট্যাপলড ভিসা’ দিয়েছিল, যেখানে পাসপোর্টে সিল না মেরে আলাদা কাগজে ভিসা দেওয়া হয়। ভারতীয় অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার নীতির অংশ হিসেবে কাশ্মীরের অনেক বাসিন্দাকেও একই ধরনের ভিসা দিয়েছে চীন।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড, এনবিসি নিউজ
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।