ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন/ ফাইল ছবি: এএফপি

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া প্রস্তুত ও আগ্রহী বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনা চালিয়ে যেতে ইউক্রেন প্রস্তুত নয়।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ২০২৪ সালে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপিত নীতিমালার ভিত্তিতে ইউক্রেনে সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে মস্কো প্রস্তুত। তবে রাশিয়া শান্তি চাইলেও কিয়েভ এখনো আলোচনার পথে আসতে চায় না।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউক্রেনের পুরো ফ্রন্টলাইনজুড়ে রুশ সেনারা অগ্রসর হচ্ছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে রুশ বাহিনীর ভূখণ্ড দখলের অগ্রগতিরও প্রশংসা করেন।

এর মধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে হামলা ও পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ায় অন্তত তিনজন নিহত হন। অন্যদিকে, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে প্রাণ হারান এক নারী।

প্রায় চার বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চললেও মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা থামেনি।

এই ধারাবাহিকতায় রাশিয়ার দক্ষিণ রোস্তভ অঞ্চলে রাতভর ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এতে দক্ষিণ বাটাইস্ক শহরে কয়েকজন হতাহত হন। একই সঙ্গে আগুনে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি স্থাপনা ও জাহাজ।

এর জবাবে ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে পাল্টা হামলা চালায় রাশিয়া। এতে মা ও সন্তানসহ একই পরিবারের কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওডেসার গভর্নর ওলেহ কিপের। হামলায় অঞ্চলটির বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধ্বংস হয় একাধিক স্থাপনা।

এদিকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে নতুন হাইপারসোনিক মধ্যম-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত একটি সামরিক ব্রিগেড গঠন করেছে রাশিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির সাধারণ স্টাফের প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা যৌথভাবে নতুন ঋণ দেওয়ার পরিবর্তে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ ইউক্রেনের সামরিক ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে ঋণ হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার বিষয়ে একমত হন।

বৈঠক শেষে পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে আরও দীর্ঘ আলোচনা হবে। তিনি বলেন, বেলজিয়ামসহ যেসব দেশ ভবিষ্যতে রাশিয়ার আর্থিক প্রতিশোধের ঝুঁকিতে রয়েছে, তারা দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে ইউক্রেনের বৈদেশিক সহায়তায় ৪৫ থেকে ৫০ বিলিয়ন ইউরো ঘাটতি হতে পারে। ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাশিয়ার জব্দ সম্পদ ঋণ হিসেবে না পেলে ড্রোন উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে বাধ্য হবে ইউক্রেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।