বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ ছাড়াল
শুক্রবার বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এরমধ্য দিয়ে আরেকটি দুঃখজনক মাইলফলক পার করলো পৃথিবী। এই ভাইরাস গত ছয় মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সোয়া ৫ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গতদিনে ৫৫ হাজার আক্রান্ত নিয়ে একদিনে কোনো দেশে আক্রান্তের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত ২৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এক লাখ ২৯ হাজার মৃত্যু নিয়ে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়ছেই।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, প্রতি বছর মারাত্মক রোগে ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন দ্বিগুণ। তবে এ সত্ত্বেও ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এমন অনেক দেশ করোনার বিস্তার রোধে জারি করা লকডাউন শিথিল করতে শুরু করেছে।
এছাড়া আরও অনেক দেশ দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধির মতো সংকটে পড়ে ফের আংশিকভাবে লকডাউন সংক্রান্ত পুনর্বহাল করেছে। এই অবস্থা শুধু চলতি বছর নয় ২০২১ সালে আরও অনেক দেশে চলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
লাতিন অঞ্চলেও ভাইরাসটির সংক্রমণ আশঙ্কা তৈরি করেছে। অঞ্চলটির সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা এখন ১৫ লাখের বেশি; যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের ২৩ শতাংশ। এদিকে এশিয়ায় করোনা সংক্রমণের কেন্দ্র ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ২৫ হাজারের বেশি।
রয়টার্সের করা হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মোট করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের মধ্যে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে যথাক্রমে তা ১২ এবং ৯ শতাংশ। কিছু কিছু দেশ করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। অনেকে দেশে তাই সঠিক সংক্রমণের হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আশার খবর মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই এখন সুস্থ।
প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসে সংক্রমিত একজন শনাক্ত হয় গত ১০ জানুয়ারি, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানী শহর উহানে। চীনের পর করোনাভাইরাস তার সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়াতে শুরু করে ইউরোপে। এরপর প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হয় যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং এশিয়া।
করোনা মোকাবিলায় সফল বলে বিবেচিত চীন, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় গত মাস থেকে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জাপানের রাজধানী টোকিও নতুন করে সংক্রমণের মুখে পড়েছে। আরও বেশ কিছু সফল হিসেবে বিবেচিত দেশে সংক্রমণ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।
এসএ